‘কিডনি রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও প্রারম্ভিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করা’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সুস্বাস্থের জন্য সুস্থ্য কিডনির বিকল্প নেই। কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০-৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে জীবনধারণ করছেন। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও প্রারম্ভিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করা।’
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ’ কিডনি, সবার জন্য সর্বত্র – রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ।’
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ায় ঝুঁকি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করে। আমরা গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছি। এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে। ৩০ পদের প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১২ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়ায় সংশিø¬ষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২০’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
সানবিডি/ঢাকা/এসএস