বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের যে অবস্থা তাতে নির্বাচন পেছানো বা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১০ আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি। বুধবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকতসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রবি বলেন, করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত যে অবস্থায় আছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করোনা সচেতনতা কর্মসূচি দিয়েছে। আমিও যে জায়গায় যাচ্ছি মানুষকে সচেতন করছি। দলের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আমি প্রার্থী হিসেবে জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করছি। করোনা বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তাতে নির্বাচন পেছানো বা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চায়। সুষ্ঠু পরিবেশ হলে করোনা আতঙ্কিত না হয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন এবং তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিবেন। আমি আশা করবো জনগণ ২১ তারিখ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে যাবেন। করোনা আতঙ্কে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণ নেই। ভোট নাগরিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের মালিকানা বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন।
গত জাতীয় সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি দাবি করে ধানের শীষের প্রার্থী রবিউল আলম বলেন, ঢাকা-১০ উপ-নির্বাচনে অবাধ-নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমার দল এবং আমার সহযোগিতা থাকবে। আমরা ভোটারদের পাশে আছি যাতে তারা শঙ্কামুক্ত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ভোটারেরা নিরপেক্ষ ভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় আচারণবিধি ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ করে রবি বলেন, প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সকল প্রার্থীর একটি সমঝোতা হয়েছিল। আমরা সেটিতে সব প্রার্থী স্বাক্ষর করেছিলাম। একমত হয়েছিলাম। আমার জায়গা থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধিতে কোন ধরণের ব্যত্যায় ঘটেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী অনেকগুলো নির্বাচনী সমঝোতা ভঙ্গ করেছেন।
বিএনপির এ প্রার্থী অভিযোগ করেন, তিনি ফুটপাতের উপরে স্থায়ী কার্যালয় করছেন, নির্বাচনী ক্যাম্প করেছেন। ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। যা এবার নির্বাচনী আচরণবিধিতে লঙ্ঘণ। মুজিববর্ষের নামে সরকার অনেকগুলো অফিস বানিয়েছেন। সেগুলোতে সুপার ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে ভরে ফেলেছে। সবগুলোকে তার প্রচারণা অফিসের মত করে ফেলেছে। যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটির বেশি অফিস করা যাবে না সেখানে তিনি একাধিক অফিস করেছেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস