রেকর্ড বৃদ্ধির পর আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে পড়তির দিকে রয়েছে স্বর্ণের দাম। গত বৃহস্পতিবার একদিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের কমেক্স মার্কেটে মূল্যবান ধাতুটির দাম ৮০ ডলারের বেশি কমেছে। গতকালও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। ফলে এ সপ্তাহে বড় ধরনের পতনে পড়েছে ধাতুটির বাজার। স্বর্ণের সাপ্তাহিক গড় দাম কমে গত সাত বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। খবর রয়টার্স ও মাইনিংডটকম।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গতকাল দিনের শুরুতে স্বর্ণের স্পটমূল্য আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৫৬২ দশমিক ৩০ সেন্টে নেমেছে। আগের দিন ও এদিনের ব্যাপক মূল্যহ্রাস পণ্যটির সাপ্তাহিক রেকর্ড দরপতনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ সপ্তাহে মূল্যবান ধাতুটির গড় দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৩ সালের জুনের পর এটাই পণ্যটির সর্বনিম্ন সাপ্তাহিক দরপতন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে স্বর্ণের আউন্সপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৩ ডলার ১০ সেন্টে, আগের দিনের তুলনায় যা ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
নভেল করোনাভাইরাস এখন বিশ্ব মহামারীতে রূপান্তর হয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব প্রত্যাশার তুলনায় আরো খারাপভাবে উপস্থাপিত হতে পারে। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১৮ মার্চ নীতিনির্ধারণকারী বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড বিদ্যমান সুদহার আরো এক দফা কমিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষণকারীরা।
এদিকে স্বর্ণের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে রুপার দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। গতকাল প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ ডলার ৪৪ সেন্ট, আগের দিনের তুলনায় যা ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
তবে চাঙ্গা রয়েছে প্যালাডিয়াম ও প্লাটিনামের বাজার। গতকাল প্যালাডিয়ামের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮৫৬ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর আগের দিন ধাতুটির দাম ২০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। একই দিনে প্লাটিনামের দাম সামান্য বেড়ে আউন্সপ্রতি ৭৬৩ ডলার ৭২ সেন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিনের তুলনায় যা দশমিক ১ শতাংশ বেশি।