রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরের ঝুটপট্টিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পরে এই দশ ইউনিটের চেষ্টার আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কন্টোলরুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ভবনের ভেতরে কিছু ধোয়া দেখা যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এর আগে ১টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। ১০ মিনিটের মাথায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান, আগুনের লেলিহান শিখা সেখানকার একটি ভবন এবং তার আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, ওই ভবনটিতে গার্মেন্টস কারখানা ও গোডাউন রয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ভবনটির একটি গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান তারা।
এর আগে গত ১১ মার্চ সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের ‘ত’ ব্লকের বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় খবর পেয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। সে সময় প্রায় পৌনে ৩ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিলো। সেই আগুনে অন্তত ২০০ ঘর পুড়ে যায়। তবে, সে ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে সময় বলেছিলেন, সেখানে বাঁশ ও টিনের একটি ছাপরা ঘরে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকে এর গা ঘেঁষে থাকা অন্য ঘরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। এখানকার বাসিন্দারা দ্রুত দৌড়ে বেরোতে পারলেও কোনো মালামাল বের করতে পারেনি।
রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক কুমার দাশ সে সময় বলেছিলেন, আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়েছে। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখানে মূলত রিকশাচালক, দিনমজুর, পোশাক কারখানার কর্মীদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা থাকেন। আগুন লাগার সময় অনেকেই কর্মস্থলে ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস