প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ। শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্পেন সরকার।
ওই বিবৃতির বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন মনক্লোয়ায় বেগোনা গোমেজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর স্পেনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
করোনার বিস্তার রোধ করতে গতকাল শনিবার থেকে গোটা স্পেনে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে দেশটির চার কোটি ৭০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত চীনসহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ৮৩৫ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৮ জনে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরার।
এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৭৫ হাজার ৯২২ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইতালিতে।
ইউরোপের ওই দেশটি যেন এখন মৃত্যু উপত্যকা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার একদিন আগে শুক্রবার মারা গেছে আড়াইশ মানুষ, যা একদিনে কোনো দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগী ২১ হাজার ১৫৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৬৬ জন। নতুন রোগী ৩ হাজার ৪৫৭ জন।
সম্প্রতি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি। ইরানে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে একদিনে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে আক্রান্ত ১২ হাজার ৭২৯ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১০ জন। ফলে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১-এ পৌঁছাল। মারা যাওয়া সবাই ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপের ছিল। মারা যাওয়া সবার বয়স ৬০-এর অধিক ছিল।
তবে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।
চীনে একদিনে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২০ জন। তবে চীনের বাইরে বিশ্বের অন্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস