আতঙ্কিত হলে যদি সচেতনতা বাড়ে তবে আতঙ্কিত হওয়াই ভালো। অনেকে সাহসী হয়ে বীর দর্পে এটা কিছুই না বলছেন, হাসাহাসি করছেন, মিম বানাচ্ছেন, বলছেন শুধু হাত ধুয়েই করোনা মোকাবেলা সম্ভব, বলছেন বাঙ্গালীদের প্রতিরোধ ক্ষমতার ধারে কাছে কেউ নেই, বলছেন বাংলাদেশ সব কিছু মোকাবেলায় সক্ষম, বলছেন উন্নত দেশ যা পারেনি আমরা করে দেখিয়েছি। তারা নিজেদের সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ ভাবেন বা ভাবছেন। আমরা যেহেতু সাধারণ মানুষ, তাই আমরা আতঙ্কিত হয়েই সচেতন হতে চাই। চাই সরকার মুখে নয়, কাজে সচেতন হোক। কেন সচেতনতার দড়ি টেনে টেনে আজও ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা? কেন জনসমাগম এড়ানোর কথা মুখে বলে শিক্ষার্থীদেরকে, মানুষকে জনসমাগমের মধ্যে ঠেলে দেয়া? এই দ্বিমুখী আচরণ কেন? কার সুবিধার জন্য? বোকার স্বর্গে কি আছি আমরা? নাকি আসলেই জনগণ আমরা অতি বোকা?
(লেখক : শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লেখাটি তার ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত)
সানবিডি/এনজে