১১টি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারের বিশেষ ফান্ড গঠন
ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই; বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৩-১৫ ১৯:৩৯:৩০
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে তারল্য সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। বরং ব্যাংকগুলোর কাছে আরও তারল্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর (স্টেটিউটরি লিক্যুইডিটি রেশিও) সংরক্ষণের নীতিমালা পরিপালন করেও ব্যাংকগুলোর কাছে আরও উদ্বৃত্ত টাকা আছে। এর পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। তাহলে তারল্য সংকট কোথায়। ইচ্ছা করলেই তারা বিনিয়োগ করতে পারবে বলে তিনি জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের বিশেষ তহবিল গঠন করেছে ১১টি ব্যাংক। বাকীদেরকে আবেদন করানোর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আটটি ব্যাংক ফান্ড গঠন করেছে। এগুলো হলো- সোনালী, জনতা, রূপালী, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, এসআইবিএল,ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক।
বাকী তিনটি ব্যাংক চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফান্ড গঠন করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হলো ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
উল্লেখ,পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন রুখতে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলার জারি করে। দরপতন বন্ধ করতে মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তহবিল গঠনের উদ্যোগটি নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক চাইলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করতে পারবে। তহবিলের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বা ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। তহবিলের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সংশ্নিষ্ট ব্যাংককেই বিনিয়োগ করতে হবে। বাকি ৬০ শতাংশ নিজ প্রতিষ্ঠান অন্য ব্রোকারেজ হাউজ,অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট,অলটারনেটিভ ফান্ড ম্যানেজারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদেরকে ঋণ দিতে পারবে।