আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে,চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। আর এর প্রভাব থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করতে সরকারপ্রধানরা যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিশ্বের ২৫ মিলিয়ন (আড়াই কোটি) মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে।
বুধবার এমন আশঙ্কার কথা জানায় আইএলও।
তবে সংস্থাটি এ-ও বলেছে, যাহোক, এর আগে ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা আমরা দেখেছি, ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে যে তৎপর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, ওই রকম পদক্ষেপ নেয়া হলে বৈশ্বিক বেকার হওয়ার এই সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে যেতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের রক্ষা, অর্থনীতিকে চাঙা করা এবং অর্থ উপার্জনের পথকে ধরে রাখতে জরুরিভিত্তিক বৃহৎ ও পারস্পারিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএলও।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। বিশ্বের ১৭৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৮ হাজার ৯৬১ জন।
করোনা শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নিচ্ছে না; সব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। কিছু কোম্পানির উৎপাদন চললেও তা সীমিত। লোকসান এড়াতে কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংকটে এয়ারলাইন্সগুলোতেও মন্দা কাটছে না। করোনা সংক্রমণ এড়াতে অধিকাংশ দেশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ফ্লাইট কমে গেছে এয়ারলাইন্সগুলোর। অর্থনৈতিক এ সংকটে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেতন ছাড়াই হাজার হাজার কর্মী সাময়িকভাবে ছাঁটাইয়ের (লে-অফ) প্রস্তুতি নিচ্ছে বাঘা বাঘা সব এয়ারলাইন্স। এসব তালিকায় আইএজি, ইজিজেট, রায়ানায়ার ও নরওয়েজিয়ানও রয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারলাইন্স ভার্জিন আটলান্টিকে কর্মী সংখ্যা ১০ হাজার। তারা জানিয়েছে, অচিরেই এসব কর্মীদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হবে।
সূত্র : বিজনেস টুডে