করোনা ভাইরাস আতংকে বিদায়ী সপ্তাহের তিন কার্যদিবস বড় পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এরপর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে। তার পরেও তিন কার্যদিবসের পতনকে টপকাতে পারেনি। সপ্তাহটিতে সব সূচক কমেছে, কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ডিএসই বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন ১০ হাজার ৬২৯ কোটি ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বা ৩.৩১ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি ৫১ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার।
বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৮৩০ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৪০ টাকা বা ৩৯.৭৪ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩১৪ কোটি ৬২ লাখ ২১ হাজার ৪৭৯ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪১৭ কোটি ৭০ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১০৩ কোটি ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭১২ টাকা কম হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৮ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৬ পয়েন্ট বা ৪.০৪ শতাংশ এবং সিডিএসইটি সূচক ৩০ পয়েন্ট বা ৩.৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৯, ১৩২৬ ও ৭৮৫ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টি বা ১৩ শতাংশের, কমেছে ৩০৪টির বা ৮৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির বা ২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
সানবিডি/এসকেএস