দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইর) সদস্য সাদ সিকিউরিটিজ (ডিএসই ট্রেক নং ১১৮) এর লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে ডিএসই। গত বৃহস্পতিবার থেকে লেনদেন বন্ধ প্রতিষ্ঠানটির। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গ্রাহকদের টাকা মারার অভিযোগে ২০১১ সালে ডিএসইতে অভিযোগ দেয় দুই জন গ্রাহক। এর পর ডিএসই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সত্যতা পেলে টাকা পরিশেধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে সাদ সিকিউরিটিজ। হাইকোর্টে ডিএসইর দেওয়া রায় বহাল রাখে কোর্ট। পরে আবারও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সাদ সিকিউরিটিজ। পরে সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখে। এর পরও টাকা দিতে গরিমিসি করে কোম্পানিটি। পরে গ্রাহক সুপ্রিম কোর্টের সরনাপন্ন হলে কোর্ট সাতদিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরিপেক্ষিতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে লেনদেন বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক সানবিডিকে বলেন, কোর্টের নির্দেশনা পরিপালন করতে গিয়ে সাদ সিকিউরিটিহের লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সাদ সিকিউরিটিজের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিএসইসির ৬৭৫তম সভায় সাদ সিকিউরিটিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনিয়মের মধ্যে ছিলো- সাদ সিকিউরিটিজ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৩১ মে ২০১৮ তারিখে ৩ কোটি ৯০ লাখ ১৯ হাজার ৬২০ টাকা ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ(১) এবং রুল ৮এ (২) লংঘন করা হয়েছে। আর পরিচালকদের ঋণ প্রদান ও পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকা সত্ত্বেও টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিএসইসির নির্দেশনা নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৩১ ও সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ এর বিধি ৪(৪) এর ডিড অব এগ্রিমেন্টের ক্লস ৫ ভঙ্গ হয়েছে। এছাড়া নগদ হিসাবে ঋণ দিয়ে মার্জিণ রুলস ও ৫ লাখ টাকার উপরে নগদ লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৮(১)(সিসি)(আই) ভঙ্গ হয়েছে। এ কারণে হাউজটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।