করোনার কারণে ক্ষতি কমাতে আজ থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গোটা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি কতদিন চলবে, সেটিও জানা যাচ্ছে না। আমাদের রাজস্ব আয় শূন্য শতাংশে চলে এসেছে। আমরা তিন মাস সময়কে একটা গাইডলাইন হিসেবে ধরেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে এর আগেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক যেসব গন্তব্যে আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করতাম নভেল করোনাভাইরাসের কারণে একে একে তার সবগুলোই বন্ধ করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা কবে নাগাদ উঠিয়ে নেয়া হবে সেটাও অনিশ্চিত। আবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যাত্রীদের ভ্রমণে আস্থা ফিরতেও সময় লাগতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একবার রিজেন্ট বন্ধের গুঞ্জন ওঠে। তখন থেকেই পর্যাপ্ত উড়োজাহাজ না থাকায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট কমাতে বাধ্য হয় তারা। তখন শোনা গিয়েছিল রিজেন্টের চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর মধ্যে দুটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বসে যায়। বহরে উড্ডয়ন সক্ষম উড়োজাহাজ কমে যাওয়ায় ফ্লাইট সংখ্যাও কমে আনতে বাধ্য হয় তারা।
উড়োজাহাজের পাশাপাশি অনেক আগে থেকেই রিজেন্ট এয়ারওয়েজে বড় ধরনের আর্থিক সংকটে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সটিতে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে সে সময় সিইও ইমরান আসিফ বলেছিলেন, ‘রিজেন্ট বন্ধ হচ্ছে না।’
বিমান সংকট আর আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি রিজেন্ট বন্ধের অন্যতম কারণ হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। গত শনিবার রাত ১২টা থেকে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং ও থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। যাত্রী ছিল না তাদের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটেও।
আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারতে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল রিজেন্ট। বিভিন্ন দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় একে একে বন্ধ হয়ে যায় এসব রুটের ফ্লাইট। সর্বশেষ গত শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটের ফ্লাইট।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বর্তমানে দেশের ভেতর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং দেশের বাইরে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাস্কাট এবং দোহায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।