পুঁজিবাজারে আসার জন্য বিডিং শুরু হওয়া ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে আগামীতে এর পরিমাণ বাড়তে চেষ্টা করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানি সূত্র মতে,ডেল্টা হাসপাতাল ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড ২০০৯ - ২০১০ থেকে ২০১২- ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২০১২ - ২০১৩ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
এর আগে, ২০১৩ - ২০১৪ এবং ২০১৪ - ২০১৫ সালে ১১ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৫ - ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ - ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই চার বছর পর্যন্ত ১২ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সৈয়দ মোকাররম আলী বলেন, দেশসেরা প্যাথলজিগুলোর মধ্যে অন্যতম ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমরা রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি ও সার্জারিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অগ্রগামী।
যোগাযোগ করা হলে কোম্পানি সচিব আল মামুন সানবিডিকে বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজারে আসছে ডেল্টা হাসপাতাল। কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার আগ থেকেই নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণ করার সাথে সাথে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ উন্নত সেবাদানের মাধ্যমে পরবর্তী বছরগুলোতে শেয়ারহোল্ডারদের আরও বেশি লভ্যাংশ দিতে চায়।
উল্লেখ, ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে মানুষের সেবা দানের মাধ্যমে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে।
ক্যান্সার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ও ডেলল্টা হাসপাতাল লিমিটেড এর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
আরও সেবা: বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মধ্যে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড অন্যতম। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড। চোখ, দাঁত, নাক, কান, গলা ও গাইনি সেবার পাশাপাশি সার্জারিও করে থাকে ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড। সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ডেল্টা হাসপাতাল লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ (রোববার) বিকাল ৫টায় বিডিং শুরু হয়েছে কোম্পানিটির। টানা ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৫ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা দিয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।