বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘ব্যাংকিং খাতকে সবচেয়ে সেরা সেবা খাতে পরিণত করতে কাজ চলছে। ব্যাংকগুলো এখন গ্রাহককল্যাণে কাজ করছে। ২০১৬ সালের মধ্যে সব পাবলিক ব্যাংকের শাখা ডিজিটালাইজড করতে হবে। নয়তো তারাই পিছিয়ে যাবে।’ চট্টগ্রামে হিউম্যান রিসোর্সেস এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুধবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ্র ভক্ত, জনতা ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার আবু নাছের চৌধুরী ও প্রকল্প পরামর্শক ইকরামুল হক।
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নেই। সুদের হার কমেছে। কলমানির রেট ৩ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। আমাদের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। পুঁজি পর্যাপ্ততার হার প্রায় ১১ শতাংশ। ইউরোপের অনেক দেশ যখন নেগেটিভ প্রবৃদ্ধিতে ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।’
গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানান, এ ইনস্টিটিউটে বিশাল আকারের একটি মাল্টিপারপাস হল, একটি থিয়েটার টাইপ কনফারেন্স হল, দুটি বড় ও ছয়টি ছোট কনফারেন্স রুম থাকবে। এ ছাড়া ২০টি শ্রেণীকক্ষ, দু’টি লেকচার থিয়েটার, কর্মীদের জন্য কিউবিক্যাল ওয়ার্ক স্টেশন, ৬৭টি ডাবল বেড ও ৩২টি সিঙ্গেল বেডের হোস্টেল রুম, ২৬টি স্যুট, ৮টি ফ্যামিলি কটেজ, ২টি এক্সিকিউটিভ এ্যাপার্টমেন্ট ও স্টাফদের জন্য একটি ডরমিটরি থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবদান অনেক। আর এই ইনস্টিটিউটটি হয়ে গেলে অর্থনীতিতে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘প্রকৃতির এ মনোরম পরিবেশে হিউম্যান রিসোর্সেস এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পাঠদান ও অধ্যয়নের জন্য উপযুক্ত স্থান বলে বিবেচিত হবে। সঠিক জায়গায় সঠিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে।’