বকেয়া পাওনার দাবিতে পাবনা চিনিমিলে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ ও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় তারা অবিলম্বে তিন মাসের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে স্লোগান দেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন।
এ ব্যাপারে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন জানান, মিলের চিনি বিক্রি না হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ঠিকমতো পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার তাদেরকে এক মাসের বেতন দেয়া হবে। এর পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি।
ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় অবস্থিত পাবনা চিনিমিলে বর্তমানে ৪০ কোটি টাকার অবিক্রিত চিনি পড়ে আছে। চলতি মাড়াই মৌসুম শেষ হয়েছে গত ৭ই মার্চ।
মিলের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন জানান, গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন, ওভারটাইম ইত্যাদি মিলিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনার পরিমাণ ৬ কোটি টাকা। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে পাওনা টাকা না পেলে শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
শুধু শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া আছে তাই নয়, মিলে আখ সরবরাহ করে চাষীরাও বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের আখের মূল্যও পরিশোধ করা হয়নি। আখ চাষিদের পাওনার পরিমাণ ২২ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, পাবনা চিনিমিলে শ্রমিক রয়েছেন ৭শ জন। প্রতি মাসে এদের বেতন ভাতা বাবদ দিতে হয় এক কোটি ২০ লাখ টাকার মতো। মিলে ২৪ মার্চ পর্যন্ত অবিক্রিত চিনি গুদামে পড়ে আছে প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন যার আনুমানিক মূল্য ৪০ কোটি টাকা। পাবনা চিনিমিলটি শুরু থেকেই লোকশান দিয়ে আসছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস