এতদিন সবাই জানতো চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। তবে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ইতালির এক চিকিৎসক। তার দাবি, চীনের অনেক আগেই ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
মিলানের মারিও নেগরি ইনস্টিটিউট ফর ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চ—এর অধ্যক্ষ জুসেপ্পে রেমুজ্জি নামে ওই চিকিৎসক তার দাবির পেছনে বেশ কিছু যুক্তিও দাঁড় করিয়েছেন। আর তার এমন বিস্ফোরক মন্তব্য ফলাও করে ছেপেছে চীনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস, সিসি টিভিসহ আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
অধ্যক্ষ জুসেপ্পে রেমুজ্জি বলেন, ‘চীনে ছড়িয়ে পড়ার আগে ডিসেম্বরে এমনকি নভেম্বরেই অপরিচিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসতে থাকেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বয়স্ক রোগী।’
তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ ভাইরাসটি চীনে ছড়িয়ে পড়ার অন্তত কয়েক সপ্তাহ আগেই লুম্বার্ডিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং আমরা আগে থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক ছিলাম।’
সে সময় এই মহামারির বিষয়ে তিনি ও একদল চিকিৎসক ইতালির প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন বলেও দাবি করেন জুসেপ্পে। রেমুজ্জির বক্তব্য অনুযায়ী, শুরুর দিকে এই রোগটি সঠিকভাবে ধরা পড়েনি। চিকিৎসকদের অজান্তেই ছড়াতে থাকে এটি।
বর্তমানে একদিকে উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে এনেছে চীন। অন্যদিকে ইউরোপে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে চীনের চিকিৎসকরা দাবি করছেন, উহান নয়, অন্য কোনো জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। সম্প্রতি চীনের শ্বাসপ্রশ্বাস সম্বন্ধী রোগ বিশেষজ্ঞ ঝং নাশহান বলেছেন, চীনের ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হলেও এর উৎপত্তি কোথায় সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।
বর্তমানে করোনার সংক্রমণের মূলকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউরোপ। মৃতের সংখ্যায় ইতালি চীনকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। এ ছাড়া ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৫০৩ জন মারা গেছে। আর দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ। অন্যদিকে চী্নে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ জন। কিছুদিন আগে যে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছিল তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস