করোনা বায়ুবাহিত রোগ নয়। মানুষের নিঃশ্বাস, হাঁচি আর কাশিতেই এটি এক জন থেকে অপর জনের দেহে সংক্রামিত হয়। এর আগে যদিও বলা হয়েছিল বাতাসে এই জীবাণু প্রায় ১১ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান সমীক্ষা বলছে তিন ঘন্টার বেশি কোনও মতেই এই জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না। এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজারে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, সারা বিশ্বের নিরিখেই তারা এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন। স্পেন, ইতালি, চীন প্রভৃতি জায়গায় আক্রান্ত মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে কোনওভাবেই তারা এই রোগকে বায়ুবাহিত বলতে পারেননি। কোনও রকম যোগসূত্রও খুঁজে পাননি। খুব ক্লোজ কনট্যাক্ট থেকেই এই রোগ বেশি ছড়ায়।
তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। হাঁচি, কাশির সময় অবশ্যই মুখ ঢাকুন। অন্যের সঙ্গে যতটা সম্ভব কম কথা বলুন। আর এই ভাইরাস সর্দি, জ্বরের সঙ্গে আঘাত হানে শ্বাসযন্ত্রে। যে কারণেই তীব্র শ্বাসকষ্ট এই রোগের অন্যতম উপসর্গ। এমনকী খাবারের বাটি বা হাতে কোনও পাত্র ধরা আছে এমন অবস্থায় হাঁচবেন না। কারণ ওই পাত্র থেকেও জীবানু ছড়াতে পারে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে ইতালিতে। তবে বিশ্বের পরিস্থিতি এখন খুবই কঠিন। সবচেয়ে বেশি করুণ অবস্থা ইউরোপে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। রাজ্যেও এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ তে। এক পরিবারের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস