সারা বিশ্বে চলছে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে; চীন, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইরান, স্পেনসহ অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নত অনেক দেশকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।
বাদবাকি দেশগুলোর মানুষের মননে বুনে দিয়েছে ‘অবধারিত’ মৃত্যুভয়। এর আগে যত ধরনের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সংকট এসেছে তাতে পৃথিবীর একটি বা কয়েকটি অংশ হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; কিন্তু করোনাভাইরাসের মতো বিশ্বের সব মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলেনি।
আক্রান্ত দেশের সংখ্যা প্রায় ২০০। বাংলাদেশে সরকারি ভাষ্যমতে, মৃত্যুহার কিংবা আক্রান্তের পরিসংখ্যান হয়তো ওই অর্থে বিভীষিকাময় নয়, তবে ১৭ কোটি মানুষ আতঙ্কিত।
সরকারের তরফ থেকে বারবারই ‘আতঙ্কিত না হওয়ার’ আহ্বান জানানো হলেও বিশ্ব পরিস্থিতি মানুষকে মরমে মেরে ফেলছে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যখন আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন আর্থিক ঝুঁকি অনবরত দরজায় কড়া নাড়ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ধারণা করছে, আজকের অবস্থা বিবেচনা করেই বাংলাদেশ ৩০২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের (এক ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরলে দেশি মুদ্রায় তা হবে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা) ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অঙ্কটা ৫০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা) কম নয়। ইতিমধ্যে পোশাক খাতে ১২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি অধিকতর ভয়াবহ হলে ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।
আগামী এক বছরে এ দেশের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ চাকরি হারাতে পারে। সরকারি হিসাবমতে, বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ। কিন্তু গবেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতি দুটি পরিবার বা খানার (Household) তরুণ-তরুণীদের মধ্যে একজন বেকার।
আমাদের দেশে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ পরিবার আছে। সে হিসাবে বেকারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এই ৯০ লাখ। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা যে একটি অসহনীয় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও এর আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই।
রোগের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) প্রতিদিন একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সর্বশেষ অবস্থাটি অবগত করার চেষ্টা করছে।
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রতিনিয়তই আপডেট প্রকাশ করছে। সেক্ষেত্রে অন্তত এ বিষয়ে বাড়তি কিছু বলাটা বাতুলতার বেশি কিছু হবে না; আমি সচেতনভাবেই সেদিকে এগোব না।
এ মহাবিপর্যয়ে আমাদের বেশকিছু দুর্বল দিক উন্মোচিত হয়েছে, যা নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন বলে মনে করছি। প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশে এ করোনাভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটেছে আক্রান্ত দেশের প্রবাসীদের দ্বারা। কিন্তু এর জন্য প্রবাসীদের দায়ী করা যাবে না।
কারও অজান্তেই এর বিস্তার ঘটতে পারে। আমাদের উচিত ছিল প্রবাসীদের বিষয়ে একটি সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়া। এর বিপরীতে আমরা তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করেছি যেন তারা অনেকটাই অচ্ছুৎ, মহা অপরাধী।
কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি; কিন্তু যেখানে তারা বাস করবেন তা ছিল অস্বাস্থ্যকর আর অব্যস্থাপনায় ভরপুর। কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গাদাগাদি করে রাখার ব্যবস্থা করেছি। ফলে ৪০০ জনের মধ্যে যদি একজনও ভাইরাস বহন করে থাকত তাহলে মুহূর্তেই তার দ্বারা সবাই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
আমরা বিদেশফেরতদের কতটা তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেছি তার প্রমাণ মেলে সরকারের এক মন্ত্রীর তিরস্কারের ভেতর ‘প্রবাসীরা বাংলাদেশে এলে নবাবজাদা হয়ে যায়।’ এটি অত্যন্ত আপত্তিকর। একটি সত্য ভুলে গেলে চলবে না ২০১৯ সালে প্রবাসীদের কাছ থেকে আমরা রেমিটেন্স হিসেবে পেয়েছি প্রায় ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
এ পরিমাণ টাকা আমাদের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ এবং চলতি বাজেটের প্রায় ৩০ শতাংশের সমান এবং আরও বলা যায়, এ রেমিটেন্স দিন দিন বাড়ছে। ২০১৮ সালে তা ছিল ১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন। এ এক বছরে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ১৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সুতরাং আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো বাঞ্ছনীয়। আমরা তাদের আপন ভেবে বোঝাতে অক্ষম ছিলাম যে, ‘আপনারা পরিবারের জন্য, দেশের জন্য বিদেশবিভুঁইয়ে রাতদিন পরিশ্রম করছেন, তা আপনারই কারণে চিরতরে মিলিয়ে যেতে পারে।’ আমরা অনুনয় না করে জবরদস্তি করেছি, বিমাতাসুলভ আচরণ করেছি। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা, গতিপ্রকৃতি তাদের বোঝাতে আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি।
উল্টোদিকে একথাও ঠিক যে, প্রবাসীদের কেউ কেউ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। তারা করোনাভাইরাসের মতো একটি বিপর্যয়কে আমলে নিচ্ছেন না। যার যার বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করছেন।
সমগ্র এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত করে ফেলছেন। এক ভদ্রলোকের কথা শুনলাম। তিনি কোয়ারেন্টিনের রীতিনীতি ভঙ্গ করে পুকুরে গোসল করেছেন, যার ফলে সমগ্র এলাকার কোনো মানুষই আর সে পুকুরে নামছেন না। এটি খুবই বিব্রতকর।
এর দ্বারা আমাদের অজ্ঞতা, অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা প্রকাশ পায়। চিকিৎসক সম্প্রদায়ও ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। এরই মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়েছি।
এমনিতেই আমাদের দেশে চিকিৎসকের অভাব। প্রতি ১৮৫০ জনে মাত্র একজন ডাক্তার। নার্স আছে প্রতি ১০ হাজারে দুইজনেরও কম। সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ হাজার ডাক্তার আর ৩৫ হাজার নার্সের এ সীমিত আয়োজন।
ডাক্তাররা যথার্থই তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন। আমরা অনেকেই তা উসকানির চোখে দেখেছি। কিন্তু ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথাটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। করোনাভাইরাস ডাক্তার আর সাধারণ মানুষে তফাৎ করবে না।
ডাক্তাররা অবশ্যই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দাবি করতে পারেন। করোনাভাইরাসের বয়স ৩ মাস অতিক্রম করে গেছে। অথচ আমরা ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথাটা মাথায়ই নেইনি। এটি একটি বড় ধরনের দুর্বলতা।
তবে আশার কথা, ‘পে ইট ফরওয়ার্ড’ এবং ‘মানুষ মানুষের জন্য’ নামের দুটি সংগঠন এরই মধ্যে ৪ লাখ পিপিই হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থের জোগান দেবে বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ট্যাক্সেশান অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা রোটারি ক্লাব নর্থ-ওয়েস্ট।
আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহেই সরবরাহের কাজ শুরু হবে। কিন্তু কথা হল, সরকারি তরফ থেকে দু’মাস আগেই তো কাজটি সারা যেত। এটি এক ধরনের অদূরদর্শিতা। চিকিৎসকদের জীবন বিপন্ন করে সেবা প্রত্যাশা করাটা অবিবেচনাপ্রসূত।
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সামনে দুটি উদাহরণ হল চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে যখন মাত্র দুই হাজারের মতো ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে, তখনই চীন সরকার রোগটি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপে চলে গিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে চীন সরকার হুবেই প্রদেশ সফলভাবে লকডাউন করেছিল।
আর চীনের অন্যত্র মানুষ স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছিল। নতুন চন্দ্র বছর উপলক্ষে যারা গ্রামে পরিবারের কাছে গিয়েছিল, তারা আর এর মধ্যে বেইজিং ও সাংহাইয়ে ফিরে যায়নি। এছাড়া বাববার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। বহু মানুষ এক মাসের মধ্যে তাদের ফ্ল্যাট থেকে বের হয়নি।
চীনের পরই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। করোনা মোকাবেলায় এ দেশটির সাফল্যও অনুকরণীয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। জানা যায়, সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজার লোকের করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং তা বিনামূল্যে। আর আমাদের? এখানে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাটাই অত্যন্ত সীমিত, চিকিৎসা তো পরের বিষয়। করোনা প্রতিরোধে আমাদেরও চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পথে হাঁটতে হবে। আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যেই অনেক দেরি করে ফেলেছি। আর বিলম্ব হলে এর মাশুল দিতে হবে আমাদের।
অন্যদিকে মাস্ক ব্যবসায়ীরা যে কাজটি করেছেন তা অতিশয় নির্মম। পুঁজিবাদে মুনাফা হল বিনিয়োগের প্রাণ। তাই বলে ২০ টাকার মাস্ক ১০০ টাকা? আমরা জানি যে, চাহিদা অতিরিক্ত হলে পণ্যের দাম বাড়ে। কারণ অতিরিক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎপাদনের প্রান্তিক খরচ বেড়ে যায়। উৎপাদনের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ।
কিন্তু কাপড়ের দাম তো বাড়েনি, যদি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা ‘ওভার টাইমের’ জন্য মজুরি বাড়তে পারে। সব বাস্তবতা আমলে নিলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি হতে পারে না।
সেক্ষেত্রে একটি ২০ টাকার মাস্ক সর্বোচ্চ ২১ টাকায় বিক্রি হতে পারে, ১০০-১৫০ টাকা হয় কী করে? আমরা কি আতশবাজি কিনছি? মানুষের জীবন নিয়ে, সুযোগ বুঝে আকাশচুম্বী মুনাফা করে প্রমাণ করলাম যে আমাদের মনন জগতে ‘বুর্জোয়া মানবতার’ সামান্যটুকুও আর অবশিষ্ট নেই।
এ ব্যাপারে অনেকেই সরকারের ‘ক্লোজ মনিটরিংয়ের’ অভাবকে দায়ী করছেন। কিন্তু আমি মনে করি তা সর্বাংশে সঠিক নয়। অতীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে, বিশেষ করে বন্যা মোকাবেলায় আমরা সাধারণ মানুষ সরকারের পাশাপাশি সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী আমাদের অতীত গৌরবকে ম্লান করে দিয়েছে।
ওপর মহলের অনেকের আচরণ ও বক্তব্য করোনার ভয়াবহতার প্রতি হেয়ালি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এক সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র লন্ডন থেকে ফিরে সরাসরি আওয়ামী লীগের একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন।
অথচ তার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের চেয়ে আওয়ামী লীগ অধিকতর শক্তিশালী।’ কথাবার্তা, আচার-আচরণে আমাদের আরও সতর্ক থাকা জরুরি। তা না হলে করোনাভাইরাসের যথাযথ ভয়াবহতা সাধারণ মানুষ অনুধাবন করতে পারবেন না।
এ তো গেল আমাদের দুর্বল দিকগুলো। আগামীতে আমাদের ভাবনাগুলো কী হওয়া উচিত? সরকার এক ঘোষণায় প্রয়োজনের তাগিদেই সব প্রতিষ্ঠানে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। করোনা রোধে এর কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু প্রশ্ন হল, কাজ হারানো মানুষের পেটের জোগান দেবে কে? ইকো-বিজনেস ২০১৮ সালে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, অনানুষ্ঠানিক খাতে গ্লোবাল কর্মজীবী মানুষের গড়হার ৬১ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের মোট কর্মজীবী মানুষের ৭৩ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে। তাদের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
যে কোনো দুর্যোগেই আমাদের নজর থাকে পুঁজিপতিদের দিকে। অথচ আমরা ভুলে যাই যে, এ দেশের একজন ভিক্ষুকও সরকারকে বছরে প্রায় আড়াই হাজার টাকা পরোক্ষ কর দেয়। ভিক্ষুকের ভোগকৃত পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করে সরকার তা আদায় করে। সুতরাং বিপদের দিনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মঙ্গলের দিকটি মাথায় রাখতে হবে।
সবশেষে বলতে চাই, করোনাভাইরাস বিশ্ববাসীকে একটি মেসেজ দিয়েছে। সেটা হল, মানববিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির পেছনে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় না করে তা মানবের কল্যাণে, মানবের অস্তিত্বের জন্য স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করাটা জরুরি।
লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
সানবিডি/ঢাকা/এসএস