দেশে চাল, গম, ডাল, পেঁয়াজ, রশুন, মাছ ও মাংশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে বলে কৃষিমন্ত্রণালয় প্রক্ষেপন করেছে ।এরবাইরে সরকারের গোদামে আরো ১৭ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে দেড় লাখ টন বেশি। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কম মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা গেলে দেশে খাদ্য সংকট হবে না। বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিরও তেমন কোন সম্ভাবনা নেই।
এখন পর্যন্ত দেশে আমদানি স্থিতিশীল রয়েছে। চীন হলো দেশের আমদানির বড় অংশিদার। চীন ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। আমরাও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছি। তাতে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প করোনা ধাক্কা সমালে দ্রুত কাজে ফিরে যেতে পারবে। এতে শ্রমজীবী মানুষ কাজে ফিরতে পারবে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে গেছে। এটি আগামীতেও বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে দুইভাবেই সরকার লাভবান হতে পারে। প্রথমতো, বিপিসি সস্তায় জ্বালানি তেল আমদানি করে বর্তমান মূল্যে বিক্রি করলেও তাদের হাতে প্রচুর অর্থ থাকবে। এটা দিয়ে সরকারের রাজস্ব আয়ে যে ঘাটতি রয়েছে সেখানে কিছুটা পূরণ করতে পারবে। আবার বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েও মানুষজনকে আর্থিক স্বস্থি দিতে পারে।
এই মুহুর্তে সরকারের হাতে অর্থ নেই। করোনার পর মানুষের হাতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে হবে।কারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাই ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। এরজন্য সরকার বিদ্যুতের যেসব প্রকল্পগুলো নিয়েছে। তার বাস্তবায়ণ পিছিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করতে পারে। আমাদের এখন বিদ্যুতের চাহিদা ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদনের স্বক্ষমতা রয়েছে ২২ হাজার মেগাওয়াটের। সুতরাং নতুন করে আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজন নেই্।
করোনার পর সরকারের চিন্তার ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। যেমন স্বাস্থ্যখাতের ক্ষেত্রে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে করোনা পরবর্তি সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ।
করোনার তান্ডবের পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারে এ নিয়ে কথাগুলো বলেন, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম।