করোনাভাইরাস (কোভি-১৯) আতঙ্কে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ব্যাপকহারে কমে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে-হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। তাই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসকদের উপস্থিতি তদারকি করতে মানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শনিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভোক্তা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযান পরিচালনা করছেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
অভিযান প্রসঙ্গে উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম। সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছুটির আওতার বাইরে চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য সেবা। কিন্তু আমরা অনেক মাধ্যম থেকে শুনছি যে, সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কারণ ডাক্তার নেই। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ অবস্থা। তাই আজকে আমরা অধিদফতরের পক্ষ থেকে রাজধানীর কমফোর্ট, গ্রিন লাইফ, ল্যাবএইডসহ নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তদারকি করছি।’
তিনি বলেন, ‘কমফোর্ট হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ১৫ থেকে ১৬ জন ডাক্তার বসতেন আজ আছে মাত্র চারজন। যদি এ অবস্থা হয় তাহলে কীভাবে হবে? সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে? মানুষ বিনা চিকিৎসায় কি মারা যাবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হাসপাতালগুলোতে এ চিত্র অধিদফতরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে জানাব। তারা যেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের এ সময়ে সাধারণ মানুষ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’
সাধারণ ছুটির সময় সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার বলে জানান উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের একাধিক টিম বাজার তদারকিতে বের হচ্ছে। আজকেও পাঁচটি টিমে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান করছে। অভিযানে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদেরতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি আইন অমান্য করায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও দুজন। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন রোগী।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস