ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে জেলাটি। অথচ এ পরিস্থিতিতে বরযাত্রী নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করেছেন সরকারি এক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার গোচাইট গ্রামে এ বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
করোনা শনাক্তে বরিশালে চালু হলো পিসিআর ল্যাব
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোচাইট গ্রামের পিয়ার হোসেনের ছেলে পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন কবির মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সনমান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। তার বরযাত্রায় অংশ নেন ৭০ জন। বিয়েবাড়িতে ধুমধাম করে খাওয়াদাওয়া সেরে কাজি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে করোনাভাইরাসের এ সময় বিয়ের আয়োজন করায় বরপক্ষকে অপদস্থ করেন। একপর্যায়ে শাহীন কবির ও তাঁর সঙ্গে অতিথি হয়ে আসা বরযাত্রীরা কনে নাদিয়া আক্তারকে রেখে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান।
গোচাইট গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, এই বিয়েতে নারায়ণগঞ্জ শহরের যেসব মহল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা গেছে, ওই সব মহল্লার আশপাশের কয়েকজন অতিথি অংশ নেন, এ জন্য আমরা চিন্তায় পড়ে গেছি।
এ ব্যাপারে শাহীন কবির বলেন, ছোট পরিসরে আমি বিয়ের আয়োজন করেছি। বউভাতের আয়োজন বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি ভালো হলে বউভাতের আয়োজন করব।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তা শাহীন কবিরের বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে শাহীন কবিরের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে শাহীন কবির বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহীন কবিরের ছোট ভাই সোহেল মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও সাইদুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা যেভাবে অন্যায় করে বিয়ে করেছেন, তা কল্পনা করা যায় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস