আজ লাইলাতুল বরাত। আজকের রাতটি মুসলিম মিল্লাতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার একটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে শবেবরাত উপস্থিতি মুসলমানদের সামনে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতার স্বার্থে সারাদেশে মসজিদগুলোতে বড় জামাতে নামাজের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। দেশের প্রখ্যাত আলেমরাও বলছেন ঘরে নামাজ পড়তে। এমতাবস্থায় আজকের শবেবরাতের নামাজ একাকী আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর ও হাটাহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তিনি বলেছেন, শবে বরাতে একাকী ইবাদত করা রাসূল সা. এর সহিহ হাদিস ও আছারে সাহাবা (সাহাবীদের আমল) থেকে প্রমাণিত। তাই ঘরে বসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন। নিজেদের করা গুনাহ মাফের জন্য স্রষ্টার কাছে তওবা করুন। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। জিকির করুন। দান-সদকা করুন। কবর জেয়ারত করুন। পরিবার পরিজনকে দীনি কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করুন।
শবেবরাতকে কেন্দ্র করে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন আল্লামা শফী। তিনি বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে বেশ কিছু রসম ও কুসংস্কার চালু রয়েছে। অনেকে হালুয়া রুটির ব্যবস্থা ও মসজিদ আলোকসজ্জা করে থাকেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ রাকাতে জামাত সহকারে নামাজ পড়ে থাকেন। এ সব বিদআত কাজ। তাই বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে না গিয়ে নিজ নিজ ঘরে একাকী ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করা উচিত।
ঘরে নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বর্তমানে দেশের অনেক জেলা-উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে সীমিত উপস্থিতির পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেম সমাজ। এমতাবস্থায় একাকীভাবে শবে বরাতের যাবতীয় আমল ঘরে করা উচিত। আর সুন্নাহর তাকাজাও এটাই। হাদিস শরিফে যা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ শব্দে এসেছে। মহিমান্বিত রজনি হিসেবে মুসলিম সমাজে শবে বরাতের গুরুত্ব অনেক। এ রাতে মানুষ ইবাদত বন্দেগীতে সময় পার করে এবং দিনে রোজা রাখে। আল্লাহ তায়ালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, কান্নাকাটি করে শবে বরাত পালন করে থাকে।’
বুধবার রাত সোয়া ৮টায় গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানির পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আল্লামা শফী।
সাননিডি/ঢাকা/এসএস