মুন্সীগঞ্জের পুরো জেলা শনিবার সিল করে দেয়া হয়েছে। মুক্তারপুর ও শ্রীনগরের ছনবাড়ি পয়েন্ট দিয়ে শুধু জরুরি যান প্রবেশ করতে পারবে। প্রবেশের আর সবপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নৌপথও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গজারিয়ার মেঘনা মোহনায় নৌযান দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে নৌপুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, গত চার দিন ধরেই মুন্সীগঞ্জ একরকম লকডাউন। ‘লকডাউন ‘ শব্দটি ব্যবহার না করা হলেও পুরো জেলা এমনকি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে। আর ১০ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার পুরো জেলাই সিল করে দেয়া হয়েছে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রামিত হওয়ায় সেখানকার স্বাস্থ্য সেবা খুবই সীমিত হয়েগেছে। তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এখনকার স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, এখন সকলের প্রতি অনুরোধ-“সবাই ঘরে থেকে নিজেদের ও অন্যদের সুরক্ষা করি।”।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা ব্যাংক সেবাসহ অনেক রকমের সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। এসব নানা কিছু বিবেচনা করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা না করে পুরো জেলাকে সিল করা হয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস