দেশে চলমান করোনা মহামারি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন। গত ২০ এপ্রিল সকাল ৬ টা হতে হাটহাজারী উপজেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনা প্রতিরোধে লক ডাউন কার্যকর করাসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিনের নির্দেশনা অনুযায়ী হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ এর নেতৃত্বে কঠোর অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ, নন্দীর হাট, ইসলামিয়া হাট, আলাওল দিঘির পাড়, মাদার্শা, মধ্য মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, গড়দুয়ারা এবং মেখল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার-এলাকা ও হাটহাজারী পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় কঠোর অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ৫ টি হোটেল ও চায়ের দোকান বন্ধ করা হয়। ২ টি খেলার মাঠে খেলা বন্ধ করা হয়।
প্রশাসনিক নির্দেশনা অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ টি হোটেলকে দুই হাজার পাঁচশত টাকা। অন্যদিকে নয় জন মুদি দোকানিকে বিকাল ৫:০০ টার পর দোকান খোলা রাখার দায়ে ৬৫০০/- টাকা, ১১ টি মোটর সাইকেল চালককে বিভিন্ন অপরাধে ৫২০০/- টাকা ও অন্য ১ জন ব্যক্তিকে ৫০০/- টাকা সর্বমোট ২৩ টি মামলায় ১৪৭০০/- টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিকাল ৫:০০ টার মধ্যে ফার্মেসি ব্যাতীত সকল দোকান বন্ধ হচ্ছে কি না; ৬:০০ টার পর কেউ বাসার বাইরে বের হচ্ছে কি না; কোথাও জনসমাগম হচ্ছে কি না; কোথাও আড্ডা হচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে কঠোর মনিটরিং করা হয়।
জনকল্যাণে ও জনসচেতনতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ। তিনি আরও বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় আমরা প্রতিদিনই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। আমরা জনগণকে আইনের প্রতি; নির্দেশনার প্রতি পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আইন-নির্দেশনা অমান্য করার পরিণতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আগামী দিনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইন-নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এই প্রতিবেদককে তিনি জানান।