অপরাধ করলেও অপ্রাপ্তবয়স্কদের এখন থেকে মৃত্যুদণ্ড দেবে না সৌদি আরব। অপরাধের শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হতে পারে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে আজ সোমবার একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে গত শনিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট থেকে এক আদেশে বলা হয়, সৌদি আরবে বেত্রাঘাতের আইন তুলে নেওয়া হয়েছে এবং এর পর থেকে আর বেত্রাঘাত করা হবে না। এর পরিবর্তে শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড বা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এই আদেশের পর বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের অনুমোদনের পর নতুন ঘোষণাটি আসলো।
শিশু অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষর করে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে জানানো হয়েছে, নাবালকদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ধরনের সাজা সৌদি আরব অপ্রাপ্তবয়স্কদের আর দেবে না।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা দেশগুলোর অন্যতম সৌদি আরব। সে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। যারাই মুখ খুলেছে, তাদেরই আটকের ঘটনা ঘটে।
২০১৯ সালে ১৮৪ জনকে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক রিপোর্টে জানিয়েছে। তাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সৌদি আরবের প্রধান আওয়াদ আল আওয়াদ বলেছেন, অপ্রাপ্তবয়স্কদের সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান থেকে সরে এসেছে সৌদি আরব। তার বদলে অপরাধের ভিত্তিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কিশোর আটক কেন্দ্রে থাকতে হতে পারে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস