মায়ের মৃত্যুর ৪ দিন পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান খান (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ভারতের মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অবস্থায় বুধবার মারা গেলেন কালজয়ী এই অভিনেতা। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
এই অভিনেতার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে ভানতের নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। ফিল্মফেয়ারের ফেসবুক পেইজেও তার মৃত্যুর খবর দিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে ইরফানের পাশে ছিলেন স্ত্রী সুতপা সিকদার এবং দুই সন্তান বাবিল ও আয়ান।
২০১৮ সালে নিউরোএন্ডোক্রাইন ক্যানসারে আক্রান্ত হন ইরফান। লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসাও নেন। এরপর খানিকটা সুস্থ হয়ে ‘আংরেজি মিডিয়াম’ছবিতে অভিনয় করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রচারে ছিলেন না।
মঙ্গলবারই এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব উঠে। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরফান বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত শনিবার জয়পুরে মারা যান ইরফানের মা সাঈদা বেগম (৯৫)। তখন ভারতজুড়ে চলমান লকডাউনের কারণে মায়ের জানাজায় যেতে পারেননি মুসলিম এই অভিনেতা।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান। এই সিনেমা তাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়।
এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ে আসছিলেন।
মায়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বলিউড অভিনেতা ইরফান খানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে নিউরোঅ্যান্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পড়ে ইরফানের। এর পর এক বছর বিদেশে থেকে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। মার্চ মাসে মুক্তি পায় ইরফানের ‘আংরেজি মিডিয়াম’ সিনেমা।
তখনও শরীর অসুস্থ ছিল বলে তাকে প্রচারে দেখা যায়নি। যদিও করোনার কবলে কয়েক দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় এই ছবির প্রদর্শন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস