পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনের কমিশনার ও চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ মে মেয়াদ শেষ হচ্ছে কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামীর। তিনিও তার পুরনো কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন। তার পরের সপ্তাহে বিদায় নিবেন চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
এদিকে তাদের বিপরীতে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়নি এখন পর্যন্ত। নতুন কাউকে নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত বিএসইসি কোরাম সঙ্কটের কারণে কোনো কমিশন বৈঠকও করতে পারবে না। ফলে জরুরি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন হলে সেটি সম্ভব হবে না। তিনজন কমিশনার ও একজন চেয়ারম্যান নিয়ে বিএসইসির কমিশন গঠিত। কমিশন বৈঠকের কোরামের জন্য চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনারের উপস্থিতি প্রয়োজন।
ইতোমধ্যে কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি কমিশন থেকে বিদায় নিয়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয়। তিনি তার পুরনো কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। আগামী ৪ মে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিএসইসির কমিশনার ওয়ান প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামীর। তিনিও তার পুরনো কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন। হেলাল উদ্দিন নিজামী চলে যাওয়ার পর বিএসইসি আর কোনো কমিশন বৈঠক করতে পারবে না। কারণ তখন মাত্র একজন কমিশনার থাকবেন বিএসইসিতে।
অন্যদিকে আগামী ১৪ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। নতুন কোথাও নিয়োগ দেওয়া না হলে তিনি তার পুরনো কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর বিএসইসিকে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে পুরনো কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করা হয়। আর এই নতুন কমিশনের দায়িত্ব পান রাষ্ট্রীয় মালিকানার বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি’র চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন।
সানবিডি/এসকেএস