মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় তেরশ জন দুঃস্থ নারী ও শিশুদের মাঝে পঞ্চান্ন লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে। চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা সহায়তা ও সাধারণ আর্থিক অনুদান এই তিন ক্যাটাগরিতে নারী ও শিশুদের মাঝে এই অনুদান বিতরণ করা হয়। মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সুপারিশ, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অনুদান প্রাপ্তির আবেদনের মধ্যে থেকে বাচাই করে এই অনুদান প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এর সভাপতিত্ব্বে নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় এ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগের সময় দুঃস্থ মহিলা ও শিশুদের অনুদান প্রাপ্তি তাদের পরিবারের আর্থিক কষ্ট লাঘবে সহায়তা করবে। ভিজিডি, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকাল ভাতা ও কর্মজীবি ল্যাক্টেটিং মা ভাতা নিয়ে দেশের প্রায় ১ কোটির বেশী নারী ও শিশু সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় রয়েছে। যা এই সংকটময় মুহুর্তে নারী ও শিশুদের খাদ্য ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত সারাদেশে চার কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে সরকার। এক কোটি পরিবারের মাঝে এক লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। শিশু খাদ্য সহায়তা হিসেবে সরকার প্রায় আট কোটি টাকা বিতরণ করেছে। তিনি এ সময় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে তবে কোন মানুষ না খেয়ে নেই।বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ায় প্রায় এক বছরের জন্য আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে অনুদানের অর্থ সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন সুলতানা, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বেগম রওশন জাহান সাথী, বেগম হোসনে আরা সিদ্দিকি জুলি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সানবিডি/এসকেএস