বাহরাইনে ধীরে ধীরে বাড়ছে বিশ্বব্যাপী আলোচিত করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি। প্রথমদিকে দেশটিতে সংক্রমনের পরিমান কম হলে ও বর্তমানে ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সেই সীমা। ভাইরাসটি দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির অভিবাসী শ্রমিকদের মাঝে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের বেশীর ভাগ অভিবাসী শ্রমজীবী।
তবে আশার দিক হল আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থ হচ্ছে অসুস্থতার সমানভাবে এবং মৃত্যুর হার সর্বনিম্নে। এছাড়া চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে বাহরাইন সরকার এবং কর্মহীন অসহায়দের দিয়েছেন নিরাপদ বাসস্থান। চিকিৎসা সেবা জোরদারে ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা পেশাদারসহ আরও ১ হাজার ৫০০ লোককে মেডিকেল রিসার্চ ফর ক্রাউন প্রিন্স সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
করোনার সংকটময় এ পরিস্থিতিতে অবৈধরা সব ধরনের সুবিধা দিতে ঘোষণা করেন সাধারণ ক্ষমার। গতকাল বুধবার (৬ মে) দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত ২১৪ জনসহ মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৩৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে ফিরে যায় ১৮৬০ জন ও চিকিৎসাধীন রয়েছে ২০৬৬ জন। গত দুই দিনে ৯৬ জনসহ এ পর্যন্ত মোট বাংলাদেশিদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১০ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে ৫৭ জন স্বাস্থ্য কর্মী বাহরাইনে সংক্রামিত হয়েছে।
তবে সবাই স্থিতিশীল আছে বলে গতকাল স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কর্ণেল ডাঃ মানাফ আল কাহতানি। নতুন করে কোন মৃত্যু ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট মৃত্যু বরণ করেছে ৮ জন এবং বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ৪ জন। শুরু থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দেয়া কিছু নির্দেশনা ও আংশিক লকডাউনের মধ্য দিয়ে চলছে এখানকার জনজীবন।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব রোধে সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব, ফেইস মাস্ক ও জনসমাগমকে বিশেষ গুরুত্ব দিলেও বেশীরভাগ লোক তা মানতে দেখা যায়নি। যার ফলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অভিবাসী শ্রমিকদের মাঝে। এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ায় লকডাউন করে দেয়া হয় দেশটির বিভিন্ন এলাকার বেশ কত গুলো ভবনকে। যাতে অন্যান্য দেশের নাগরীকদের সাথে শত শত বাংলাদেশিরা রয়েছে।
খাদ্যসহ নানা সংকট সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে সেই আংশিক লকডাউনের দ্বিতীয় মেয়াদ। একই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা থেকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাবসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া উন্মুক্ত করে দিয়েছে সকল বাণিজ্যিক ও শিল্পের দোকান গুলো। রয়েছে কিছু শর্ত। শুরু থেকে ঢিলেঢালা আংশিক এ লকডাউনে নিয়ন্ত্রণে আসছেনা করোনার সংক্রামন। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা মনে করেন, জীবনও জীবিকা দু'টি একসাথে চলতে দেয়া এ সিদ্ধান্তটি হতে পারে আগামী দিনের জন্য একটি ঝুঁকি পূর্ণ সিদ্ধান্ত।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস