আগামি এক বছরের মধ্যে প্রযুক্তি পণ্যে একটি মাইলফলক স্থাপন করবে ওয়ালটন। বাজার সম্প্রসারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ১০ গুন বেশি গতিতে এগিয়ে চলেছে এই ব্র্যান্ড। আগামিতে বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ মানের পণ্য দিতে পারবে ওয়ালটন।
শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স-২০১৫ অতিথিরা এসব কথা বলেন। সারা দেশ থেকে আসা ওয়ালটনের শীর্ষস্থানীয় ৬৬৪ জন পরিবেশক এতে অংশ নেন।
ওয়ালটনের বিপণণ বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার সভাপতিত্ব কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, অতিথি ছিলেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক (এইচআরএম) এসএম জাহিদ হাসান, নজরুল ইসলাম সরকার (ফরেইন ট্রেড মনিটরিং), মো. হুমায়ুন কবীর (পিআরএন্ড মিডিয়া), আশরাফুল আম্বিয়া (সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং), তোফাজ্জ্বল হোসেন (জেনারেল এফেয়ার্স), উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) একেএম মুজাহিদ প্রমূখ।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম বলেন, প্রযুক্তি পণ্যে ওয়ালটন তার পণ্য সম্ভার আরো সমৃদ্ধ করতে যাচ্ছে। এজন্য নতুন নতুন কারখানা স্থাপন, গবেষণা এবং পণ্যমান উন্নয়নের কাজ চলছে।
এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটন চতুর্থ প্রজন্মের কম্প্রেসার কারখানা স্থাপন করছে। প্রযুক্তি পণ্যের ব্যাসিক ও ম্যাটেরিয়ালস উৎপাদন করতে যাচ্ছে। আন্তজাতিক বাজারে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে বাজার সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ওয়ালটন বিক্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে দেয়া হবে ওয়ানস্টপ সার্ভিস। একই আউটলেটে মিলবে প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য। তিনি যোগ করেন, গত পৌনে ২ বছরে ওয়ালটন পণ্যে ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আউটলেট বা বিক্রয়কেন্দ্র বেড়েছে ৪০ শতাংশ। যে কারণে ওয়ালটন বিভিন্ন পণ্যের ব্যাসিক ও ম্যাটেরিয়াল উৎপাদনে যেতে পেরেছে। আগামি ৫ বছর এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। ওয়ালটন অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানিয় অনেক দেশে পণ্য রপ্তানি করতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসএম জাহিদ হাসান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ওয়ালটন একটি অনুপ্রেরণা।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনে পুরস্কৃত করা হয় দেশ সেরা ২০ জন ডিস্ট্রিবিউটরকে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রাজশাহীর শিমুল এন্টারপ্রাইজ, ভেড়ামারার সান রাইজ এন্টারপ্রাইজ, খাগড়াছড়ি রামগগেড়র শোমা ইলেকট্রনিক্স, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার মাইসা এন্টারপ্রাইজ, আশুলিয়ার এমআর ইলেকট্রনিক্স, কালিয়াকৈরের রাকিব এন্টারপ্রাইজ, ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়ার মুস্তফা এন্টারপ্রাইজ, বরিশাল সিএন্ডবি রোডের এসডিএল ইলেকট্রনিক্স প্লাজা, কামরাঙ্গিচরের স্বর্ণা ইলেকট্রনিক্স, নরসিংদীর টিএস ইলেকট্রনিক্স, শ্যামপুরের ইলেকট্রো ভিশন, নারায়নগঞ্জের ইলেকট্রো হাট, নবাবগঞ্জের একতা এন্টারপ্রাইজ, মধুপুরের রফিক এন্টারপ্রাইজ, পাঁচবিবির নাহিদ এন্টারপ্রাইজ, উত্তরার হোম ইলেকট্রনিক্স, গোপালগঞ্জ মকসুদপুরের আরআর ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স, কক্সবাজারের জাহেদা ইলেকট্রনিক্স, নোয়াখালী ফরিদগঞ্জের মীম ইলেকট্রনিক্স এবং চিটাগাং জুবিলী রোডের নিউ বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স।