৮৩৭ কারখানার অগ্নি নিরাপত্তায় ১৬শ’ কোটি টাকা দরকার

আপডেট: ২০১৫-১২-০৬ ০৯:২৯:৪৯


Allianceদেশের ৮৩৭টি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতাদের জোট ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’ জানিয়েছে, এ কারখানাগুলোয় পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা নেই। অগ্নি নিরাপত্তায় ১৬শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

শনিবার রাজধানীতে জোটটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। ৭, ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাহ রবিন।

তিনি বলেন, অ্যালায়েন্স সারাদেশের ৮৩৭টি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে। এসব কারখানায় ফায়ার ডোর (অগ্নিকাণ্ডে জরুরি ভিত্তিতে বের হওয়ার দরোজা) পাওয়া যায়নি। এছাড়া, অগ্নিবিষয়ক আরও ছোট-খাট ত্রুটি রয়েছে। কারখানাগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ও ভবন সংস্কারে গড়ে আড়াই লাখ ডলার প্রয়োজন। যা বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি। সে হিসাবে ৮৩৭টি কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১ হাজার ৬শ’ ৩৩  কোটি টাকা প্রয়োজন।

অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যেসব কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে তার সবগুলোতেই ছোট-খাট সমস্যা রয়েছে। যেসব কারখানায় সমস্যা বেশি, সেখানে বিদ্যুৎ ও অগ্নি নিরাপত্তায় সংস্কার কাজে আড়াই লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

মেজবাহ রবিন জানান, বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক কারখানার সঙ্গে ক্রেতাদের আগের মতো সম্পর্ক নেই। তবে, সবাই মিলে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, ৮৩৭টি কারখানার মধ্যে ২৮টি কারখানা ইতোমধ্যে সংস্কার কাজের জন্য ব্যাংকের কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে। ঋণের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকেও প্রক্রিয়াধীন।

অ্যালায়েন্সের এ শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় অগ্নি নিরাপত্তার সামগ্রী নিয়ে তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে ৩৬টি ব্র্যান্ড অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৩টি বিদেশি ব্র্যান্ড এবং বাকিগুলো বাংলাদেশি।