মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলায় খুলনার শিল্প পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসানুর রহমান হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়।

গত সোমবার রাতে ওই এএসআইকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় আনা হয়। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা।

এর আগে এএসআই হাসানসহ দুজনকে আসামি করে সাতক্ষীরা থানায় মামলা করেন জেলা সদরের বাবুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র আমিন। মামলায় অপর আসামি সাতক্ষীরা শহরের শেখ সাহেদ হাসান অপু। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মে দুপুর ১টার দিকে বান্ধবী তামান্নাকে নিয়ে বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন গোপাল চন্দ্র। তারা শহরের বাঁকাল ইকোপার্কের সামনে পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুজন ব্যক্তি তাদের পথরোধ করেন। একপর্যায়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর শুরু করা হয়। এ সময় তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

টাকা দিতে অস্বীকার করায়গোপাল ও তার বান্ধবীকে তাদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলে তুলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে শহরের শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে নিয়ে এসে হাতকড়া খুলে দিয়ে টাকা জোগাড় করার জন্য ফোন করতে বলা হয়।

গোপাল চন্দ্র টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে কানে থাপ্পড় মেরে তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সদর থানার সামনে এলে তিনি লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে থানার মধ্যে ঢুকে পড়েন।

এ সময় ডিবি পুলিশের দারোগা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি থানায় না ঢুকে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে তার বান্ধবীকে সদর উপজেলার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ মে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানা পুলিশ ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি এএসআই হাসানুর রহমান হাসানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এরপর সোমবার রাতে খুলনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরায় আনা হয়। মঙ্গলবার তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিঙ্গাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ঘটনার অপর সহযোগী সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ সাহেদ হাসান অপু। তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস