বেতন গ্রেড টেকনিক্যাল গ্রেডে উন্নতিকরন, বৃটিশ আমলের পদবী পরিবর্তন ও ৩০ শতাংশ ঝুকিভাতা সহ চারটি দাবীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নয়টি দপ্তর/সংস্থার ল্যাবরেটরী এটেনডেন্ট/সমমান পদধারীদের নিয়ে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার এলএ এসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছে। এতে খান আতাউর রহমান কে সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এ কে এম ইলিয়াস মাহমুদ। গতকাল বুধবার বিকেলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ মামুনুর রশীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রনজু খান।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি খান আতাউর রহমান বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ন। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিজ্ঞানী ও কর্মচারীদের জন্য। এক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে ল্যাবরেটরীতে ও মাঠে কৃষি বিজ্ঞানীদের ল্যাবরেটরী এটেনডেন্টগন সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। ল্যাবরেটরী এটেনডেন্ট/সমমান পদসমূহের কর্মচারীগন ল্যাবরেটরীর সকল মেশিনারিজ চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রনে কৃষি বিজ্ঞানীদের সহায়তা করেন, অথচ টেকনিক্যাল গ্রেড ও ঝুঁকি ভাতা হতে বঞ্চিত। তাই ন্যায্য দাবীতে সংগঠনের মাধ্যমে দাবী আদায়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাবেন।
তাদের দাবীগুলো হল, ল্যাবরেটরীতে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় এবং প্রায়শই নানা দুর্ঘটনা ঘটে। তাই, নিয়োগবিধি সংশোধনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল ক্যাটাগরী বেতন গ্রেড উন্নীত করে গ্রেড-১৬ করতে হবে এবং কাজের পরিধি একই বিধায় ল্যাবরেটরী এটেনডেন্ট/সমমান পদনামকে যুগোপযোগী করে সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ান করতে হবে। বিস্ফোরক এ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করতে হয়, যে কোনো সময় বিপদজনক দূর্ঘটনা ঘটে। অতীতে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে উক্ত পদের কর্মচারীগন চোখ হারিয়েছেন এবং হাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাই মানবিকতার দিক বিবেচনায় নিয়ে কমপক্ষে ৩০% ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের এই পদসমূহে এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ন এবং রেশিও অনুসারে পদোন্নতির পদ সৃজন করতে হবে। সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ান গ্রেড-১৬ থেকে পদোন্নতিযোগ্য সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান/ল্যাব এসিস্ট্যান্ট গ্রেড-১৩ পদ এবং সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান/ল্যাব এসিস্ট্যান্ট গ্রেড-১৩ থেকে পদোন্নতিযোগ্য সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গ্রেড-১০ পদ করতে হবে। ল্যাবরেটরীতে বিপদজনক কেমিক্যাল/এ্যাসিড থাকে, সরকারি সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে এই পদে আউটসোর্সিং নিয়োগ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করতে হবে।