মারণঘাতি করোনাভারাইসের কারণে মন্দায় পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। এ কথা এখন সর্বজনবিদিত। তবে করোনায় বিশ্ব অর্থনীতির কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, এবার সেটার একটা পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এ ব্যাপারে তারা বলছে, করোনার কারণে সারাবিশ্বে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি (৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার) থেকে ৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার (৮ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হতে পারে। যা বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যাওয়ার সমান।
শুক্রবার ‘আপডেট অ্যাসেসমেন্ট অব দ্য পটেনশিয়াল ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয় এডিবি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে করোনায় ৩ মাসে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। ৬ মাসে এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। যা মোট ক্ষতির প্রায় ৩০ শতাংশ। এই সময়ে শুধু চীনেরই ক্ষতি হতে পারে ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার।
সারা বিশ্বের সরকারপ্রধানরা করোনার এই সময়ে অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতি হবে অনেক। তবে পদক্ষেপ নিলে ক্ষতি কিছুটা কম হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তাতে বলা হয়, সরকারপ্রধানরা জরুরি পদক্ষেপ নিলেও সারা বিশ্বে করোনায় ৩ মাসে ক্ষতি হবে ৪ হাজার ৯৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ৬ মাসে এ ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। আর এশিয়ায় ৩ মাসে ১ হাজার ৩২৮ বিলিয়ন এবং ৬ মাসে ১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
সরকারপ্রধানরা জরুরি পদক্ষেপ না নিলে সারা বিশ্বে ৩ মাসে ৫ হাজার ৭৯৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার এবং ৬ মাসে ৮ হাজার ৭৮৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে। আর এশিয়ায় ৩ মাসে ১ হাজার ৬৬৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার এবং ৬ মাসে ২ হাজার ৫২৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে এডিবির প্রধান ইকোনোমিস্ট ইয়েসুউকি সাওয়াদা বলেন, ‘করোনা বিশ্ব অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে, সেটার বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই নতুন বিশ্লেষণে। এতে আরেকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে যে, সুনির্দিষ্ট নীতি বা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা গেলে অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকটাই কমান যাবে।’