যখন অনেক কর্মকর্তারা লকডাউন ছুটি উপভোগ করছেন তখন শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী , মাননীয় উপমন্ত্রী, মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা , মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর , বোর্ডগুলো , অঞ্চলগুলো , কলেজগুলো নিজ দায়িত্বের যায়গা থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কাজগুলো হয়তো কারো চোখে পড়ে না। কিন্তু নীরবে নিভৃতে এই কাজগুরো চলছে। সকল বাধা অতিক্রম করে যে কর্মযজ্ঞ চলছে তা এক বিস্ময়।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে সংসদ টিভি এবং অনলাইনে ক্লাশ পরিচালনার ক্ষেত্রে। যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রনালয় তার কিছু চিত্র তুলে ধরছি আপনাদের উদ্দেশ্যে।
১। স্কুল পর্যায়ের ছাত্রদের ক্ষতি কভার করতে সংসদ টিভির মাধ্যমে ক্লাশ চালু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা নিরলস পরিশ্রম করছেন এই কর্মসূচীটি চালিয়ে যাবার জন্য। যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের মাঝেও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
২। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মা উ শি এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজ পর্যায়ে পুরোদমে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাশ। বিভিন্ন কলেজগুলো প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে স্টুডিও স্থাপন করে ক্লাশ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউবা নিজ বাসায় বসেই অনলাইনে ক্লাশ নিচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ে একটু ধীরগতি থাকলেও বর্তমানে এই পদ্ধতিটির ব্যপক সাড়া পড়েছে। ছাত্র ছাত্রীরাও অংশ নিচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে কলেজগুলোর মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে কে কতটা ভালভাবে ক্লাশ করতে পারে।
৩। মা উ শি পরিপত্রের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ , শিক্ষক এবং কলেজের ছাত্র গ্রাম পর্যায়ে কৃষকের পাশে দাড়িয়ে তাদের বরো ধান ঘরে তুলে দেবার কর্মসূচী নিয়েছে।
৪। করোন সংকটের কানণে এস এস সি ফল প্রকাশে বিলম্ব ঘটে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় মাঠ পর্যায় থেকে ওএমআর সংগ্রহ করে ফল প্রকাশের জন্য বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা রাতদিন পরিশ্রম করছেন যত স্বল্প সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা যায।
৫। নতুন এম পিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের ঈদের আগেই যেন এমপিও দেয়া যায় সে ব্যাপারে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন । সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করেছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিজি অফিস এবং আঞ্চলিক অফিসগুলোর চোখে ঘুম নেই। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যেন ঈদের আগেই আবেদনকারী শিক্ষকদের বকেয়া সহ বেতন হাতে পৌছে যায় দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করছেন।
৬। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্র ছত্রীদের উপবৃত্তির টাকা অনলাইনে প্রদান করার শুভ সূচনা করলেন। মোবাইল এর মাধ্যমে উপকারভোগী ছাত্র ছাত্রীদের কাছে সে টাকা চলে যাবে এর মধ্যেও।
আসলে আন্তরিকতা এবং সদিচ্ছা থাকলে কোন বাধাই বাধা নয়। সব বাধাকে জয় করে বিকল্প পদ্ধতিতে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া যায়।
লেখকঃ রতন কুমার মজুমদার
অধ্যক্ষ, পুরান বজার ডিগ্রি কলে।