প্রতি বছর রমজান মাসে মুসলিমদের জন্য সাহরি এবং ইফতারের ব্যবস্থা করত যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবোর্নে থাকা দেশটির সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি। তাই রমজানের সময়টা বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কাটত কমিউনিটির এই দায়িত্বে থাকা মোজাম্মিল আহমেদের। তবে এই বছর করোনাভাইরাসের কারণে রমজানে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবোর্নের মুসলিম কমিউনিটি একটি ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
বৈশ্বিক এই মহামারির বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেককেই খাবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। লকডাউনের কারণে রেস্টুরেন্ট-ক্যাফে বন্ধ থাকায় এই সমস্যা তীব্র হয়েছে। তাই এ বছর রমজানে বিউমন্ট ওয়েইন হাসপাতালের সকল চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন এই কমিউনিটির মুসলিমরা। রাজ্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত এই হাসপাতালে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ৭০ শতাংশ করোনা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে।
কাতারের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মিশিগান অঙ্গরাজ্যে গত ২৪ মার্চ লকডাউন আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বিউমন্ট ওয়েইন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবার নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। আর ওই হাসপাতাল স্টাফদের প্রধান মোজাম্মিল আহমেদ এটা লক্ষ্য করেন। এরপর মুসলিম কমিউনিটি রমজানের শুরু থেকে সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবার ও ইফতার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য প্রতিরক্ষা পোশাক (পিপিই) প্রদানের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। গত মার্চে ডিয়ারবোর্ন শহরের কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট সুসান দাবাজা, যিনি নিজেও একজন মুসলিম, একটি ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। ওই আবেদনে সারা দিয়ে প্রথম থেকেই পিপিই সরবরাহ করে যাচ্ছে এই মুসলিম কমিউনিটি।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস