মন্দায় প্রবেশ করেছে এশিয়ার দ্বিতীয়বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ জাপান। করোনা মহামারিতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ০.৯ শতাংশ সংকোচিত হয়েছে আগের প্রান্তিকের চেয়ে। এমন তথ্য উঠে এসেছে সোমবার প্রকাশিত সরকারি ডাটায়। এর আগের প্রান্তিকেও অর্থনীতি সংকোচিত হয়েছিল। ফলে জাপান এখন অর্থনৈতিক মন্দায় বলেই বিবেচিত হবে। কারণ একটি দেশের অর্থনীতি টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকোচিত হলে তাকে মন্দা ধরে নেয়া হয়। পুরো বছরে দেশটির অর্থনীতি ৩.৪ শতাংশ সংকোচিত হবে বলে পূর্বাভাস আসছে।
মূলত করোনা মহামারির আগ থেকেই জাপানের অর্থনীতি সংকটে ছিল। সরকার বিক্রয় কর বাড়ানোর পাশাপাশি ঘূর্নিঝড় হাগিবিস এর কবেলে পড়ে গত বছরের শেষ দিকে জাপানের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড কমে যায়। এ বছর করোনার আঘাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতে এখনও পুরোপরি দেখা যাচ্ছে না। পরের মাসগুলোতে এটি আরো প্রবলভাবে দেখা যাবে।
জাপানে ক্যাপিটাল ইকোনেমিকসের অর্থনীবিদি টম লারমথ এক গবেষণা নোটে লেখেন, ‘মার্চ পর্যন্ত অর্থনীতিতে করোনার ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতি ১২ শতাংশ কমতে পারে আগের প্রান্তিকের চেয়ে।’ দেশটির রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ, ভোক্তা ব্যয়ও কমেছে। জাপান সরকার ইতিমধ্যে অর্থনীতি টেনে তুলতে ১ ট্রিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যা জাপানের বার্ষিক উৎপাদনের ২০ শতাংশ। আরো সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে আবে সরকার। সূত্র: সিএনএন বিজনেস
সানবিডি/ঢাকা/এসএস