রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে (মূল ভবনের বাইরে স্থাপিত) লাগা আগুনের ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খাদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মা. মনির হোসেন (৭৫) ও মো মাহাবুব (৫০)। তারা সবাই হাসপাতালের আইসােলেশন ইউনিটে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন।
বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জাগোনিউজকে জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের খবরে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। রাত ১০টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এখানে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ওইভাবে ছিল না। কিন্তু ইউনিটের কাছেই ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বোধ হয় ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করতে পারেনি।
আগুনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের পর কারণ বলা যাবে।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতাল সংলগ্ন তবে মূল ভবনের বাইরের আইসোলেশন ইউনিটে সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি হয় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন প্রচণ্ড দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রােগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি এবং ভেতরে থাকা এই পাঁচজন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। তারা করােনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, দমকল বাহিনীকে তাৎক্ষণিক খবর দেয়া হয়। হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও দমকল বাহিনীর সহায়তায় ১৫-২০ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে দমকল বাহিনী তদন্ত করছে এবং ইউনাইটেড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করছে।