পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারের দাম কমার নির্দিষ্ট একটি সীমা থাকলেও আগের মতোই দাম বৃদ্ধির কোন সীমা থাকছে না। আগে লভ্যাংশ ঘোষণার পর লেনদেনের প্রথম দিন শেয়ার ও ইউনিট দরের দর বাড়ার বা কমার কোন সীমা ছিলো না। তবে ফ্লোর প্রাইসের কারণে এখানে পরিবর্তন এসেছ।
বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছ।
সূত্র মতে,চলমান বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দুই মাস লেনদেন বন্ধ থাকার পর রোববার শুরু হচ্ছে উভয় স্টক একচেঞ্জের লেনদেন। এই বন্ধের মধ্যে অনেক কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ ঘোষণার পর কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনে দাম বৃদ্ধি বা কমার কোন সীমা ছিলো না। কিন্তু করোনা মহামারীর ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছ। আগামীকাল থেকে লেনদেন শুরু হলেও লভ্যাংশ ঘোষণার পর কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে পারবে না। তবে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির বিষয়ে কোন ধরণের বাঁধা নিষেধ নেই।
এ বিষয়ে ডিএসইর কয়েকরজন দায়িত্বশীল বলেন, লভ্যাংশ ঘোষণার পর লেনদেনে কোম্পানিগুলোর সর্বোচ্চ দাম ও সর্বোনিম্ন দামের কোন তারতম্য ছিলো না। তবে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে তার নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বৃদ্ধির কোন সীমা আগের মতোই থাকছে না।