মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে ৯ ব্যাংক
প্রকাশ: ২০১৫-১২-০৬ ২২:৫০:১২
কয়েকটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতির তালিকা থেকে বের হতে পারছে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বারবার তাগিদ দিলেও তা কাজে আসছে না। গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে দেখা গেছে, ৯টির ১৪ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে। আর এ ঘাটতি প্রায় ৮০ শতাংশ রয়েছে সরকারি মালিকানার সোনালী, বেসিক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের। তবে কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মূলধন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষণ করায় আলোচ্য সময়ে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি উদ্বৃত্ত দেখা গেছে।
ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সরকারি মালিকানার রয়েছে ৬টি। সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। এছাড়া বেসিকের দুই হাজার ৯৯১ কোটি, সোনালীর দুই হাজার ১৫ কোটি, জনতার ৬৬৩ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৫৩২ কোটি ও রূপালী ব্যাংকের ৩৭৪ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকের মধ্যে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের এক হাজার ৪১৯ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ২৮৫ কোটি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে। এর আগে গত জুন শেষে ৯টি ব্যাংকের ১৫ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে ৬৯ হাজার ৬১ কোটি টাকা সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল। ব্যাংকগুলো রেখেছে ৭২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, যা ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত জুনে ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ হারে মূলধন রেখেছিল।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতিমালা ব্যাসেল-৩ এর আলোকে গত মার্চ প্রান্তিক থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন রাখতে হচ্ছে। এর আগে ব্যাসেল-টু নীতিমালার আলোকে ন্য্যূনতম চারশ কোটি টাকা অথবা ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ, এর মধ্যে যেটি বেশি সে হারে মূলধন রাখতে হতো।
এখনও একই হারে মূলধন রাখতে হচ্ছে। তবে নতুন পরিবর্তন হলো, এখন ১০ শতাংশের মধ্যে উদ্যোক্তা মূলধনের হিসাবে ন্যূনতম সাড়ে চার শতাংশ রাখতে হয়। এছাড়া ব্যাংকিং পরিভাষায় টিআর-১ ও টিআর-২ নামে পরিচিত ঘরে আলাদাভাবে মূলধনের হিসাব করা হচ্ছে।