সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কোনো প্রকল্প তো নেই। একটিমাত্র প্রকল্প রয়েছে এ-সংক্রান্ত, সেটি আবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। এখন গুরুত্বহীন মেগা প্রকল্প স্থগিত রাখা যেতে পারে। এখন যেসব প্রকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্ব রাখে না, এমন প্রকল্পগুলো স্থগিত রেখে আয়বর্ধক, কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প আমরা নিতে পারতাম। এখনো আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। বরাদ্দ থাকলেই খরচ হয়ে যাবে বা খরচ করতে হবে এমন তো নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় চাইলে এখনো সে উদ্যোগ নিতে পারে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা এই বাজেটে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত আরও প্রকল্প নিতে পারতাম। এতে বৈদেশিক সহায়তাও বেশি বেশি আসত। আমরা তো এ কথা আগেই বলেছি যে, এখন দরকার মানুষের জীবন রক্ষা করা। আর দরকার কাজ। মানুষকে কাজ দিতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে হবে। মানুষ যেন কাজ করে খেতে পারে সে ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। উন্নয়ন তো থাকবেই। সেটিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সেটি হতে হবে কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক উন্নয়ন। সে রকম প্রকল্প এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে খুব একটা নেই। বরং মেগা প্রকল্পগুলোতে অনেক অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি না বদলালে তো সেসব প্রকল্পের কাজও করা যাবে না। আর পরিস্থিতি যে খুব তাড়াতাড়ি বদলে যাবে তাও তো বলা যায় না। ফলে এখনো সরকারের হাতে সময় রয়েছে। দরকার আয় ও কর্মসংস্থানবর্ধক প্রকল্প হাতে নেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ আপাতত স্থগিত রাখা। বাজেট যেহেতু পাস হয়নি, ফলে বাজেট পাসের সময়ও এ বিষয়গুলোকে আমলে নেওয়া যেতে পারে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, কোভিড-১৯-কে বিবেচনায় নিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হলে জনগণের হাতে অর্থ যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এ জন্য উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ জন্য যেসব প্রকল্প কম গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো বাদ দিতে হবে। আর মেগা প্রকল্পের মধ্যেও যেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো এখন স্থগিত রেখে অন্যদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো মানুষকে কাজ দিতে হবে। খাবার দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ দিতে হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস