প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট চূড়ান্ত করার সময় পুঁজিবাজার সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায় কিনা সেটি দেখবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
সভায় এনবিআরের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন। বিএসইসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার খোন্দকার কামালউজ্জামান, অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও মো. আব্দুল হালিম এবং নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান।
সভা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসির বাজেট সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো এনবিআরের কাছে তুলে ধরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে এগুলো পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়। এনবিআরের পক্ষ থেকে বাজেট চূড়ান্ত করার সময় যতটুকু সম্ভব প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাশপাশি এনবিআর ও বিএসইসির মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের জন্য একটি কো-অপারেশন কমিটি গঠনের বিষয়ে দুই সংস্থা একমত হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দেয়ার জন্য এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বিএসইসির পক্ষ থেকে এনবিআরের কাছে পুনর্বিবেচনা জন্য যে বিষয়গুলো ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন বছরের শর্ত প্রত্যাহার করা, অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মত তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানো, জিরো কুপন বন্ডের উপর বিদ্যমান কর সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি বাতিল করে এ সুবিধা সব ধরনের বন্ড ও সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রয়োজ্য করা, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফার কর হার কমানো ইত্যাদি।