ই-ক্যাব সদস্যদের জামানত ছাড়াই ঋণ দিবে প্রাইম ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২০-০৬-২৪ ১৯:১৬:৫৭


কোন ধরণের জামানত ছাড়াই ই-ক্যাব সদস্যদের ঋণ দিবে দেশের অন্যতম বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। দেশের ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নসহ যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি। এই লক্ষ্যে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং ই-কমার্স অ্যাসোসয়িশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরতি হয়েছে।

একটি র্ভাচুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী র্কমর্কতা রাহেল আহমেদ এবং ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যালায়ন্সের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদশে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ই-ক্যাব ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে এই সহজ অর্থায়নের সুবিধা ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে দিবে। এ চুক্তি মোতাবেক ই-ক্যাবের সদস্য প্রতষ্ঠিানগুলো প্রাইম ব্যাংক থেকে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা র্পযন্ত লোন এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা পাবে। যার ফলে এই উদীয়মান এই খাতের প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে। সৃষ্টি হবে নতুন র্কমসংস্থান। উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টরের দূরত্বটা প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দূর হয়ে গেল। শুধু স্থাবর সম্পত্তি নয়, একজন উদ্যোক্তার মেধা ও জ্ঞান অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। তরুন ও সৃজনশীল ই-কমার্স উদ্যোক্তারা সে মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবা দিয়ে ই-কমার্সকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করে তুলেছে। তাদের উদ্যোগ সম্পর্কে বুঝতে না পারলে ক্রমশ পিছিয়ে পড়বো আমরা। তিনি বলেন, আমি আশা করি প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ই-কমার্সকে অনুধাবনের যে সমস্যা ব্যাংকিং খাতের যে সমস্যা ছিল তা কেটে যাবে।

এই চুক্তরি ফলে ই-কমার্স প্রতষ্ঠিানগুলো ওর্য়ার্কিং ক্যাপটিাল (সিসি, ওডি ও ডিমান্ড লোন), ফিক্সড অ্যাসটে ক্রয় ও ক্যাপটিাল এক্সপেন্ডিচারের জন্য টার্ম লোন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সল্যুশন (এলসি এলএটিআর, আইডিবিপি), ব্যাংক গ্যারান্টি, ওর্য়াক র্অডার ইত্যাদি র্অথায়ন সুবধিা পাবে। ডিপোজিট সুবধিা ও ই-ট্রানজকেশনরে জন্য ইন্টারনটে ব্যাংকিং – অ্যালটুচিড- সার্ভিস পাবে। লোনের জন্য দুই বছররে ব্যবসার অভজ্ঞিতা ও ই-ক্যাবের সুপারিশ পত্রের প্রয়োজন হবে। ই-ক্যাবের সদস্যবৃন্দ যাতে বাসায় বা অফিসে বসেই অনায়াশে লোনের আবদেনসহ যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য প্রাইম ব্যাংক রিলেশনশিপ ম্যানজোর নিয়োগ করেছে।

প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরচিালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমদে বলনে, “সরকারের ডিজটাল বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে প্রাইম ব্যাংক একাত্ম হয়ে কাজ করছে। ই-কমার্স খাতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় অবদান রাখার সম্ভাবনা নিহিত আছে। অনেক ই-কমার্স স্টার্টআপ দেশের সার্ভিস সেক্টরকে সম্পূর্ণ বদলে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে জন্য নিয়ে এসেছে অনেক সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ। এই উদীয়মান ই-কমার্স খাতের আগামী দিনের অগ্রযাত্রায় সাথে থাকতে পেরে প্রাইম ব্যাংক আনন্দিত। আমাদের এই খাত যখন আলীবাবা বা বিশ্বের বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো হলে, আমরা বলতে পারবো শুরু দিক থেকে আমরা এই খাতের সাথে ছিলাম।

ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই খাতের উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ব্যবস্থায় ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত। কোভিড ১৯ এর কারণে এই খাতে যে ক্ষতি হয়েছে। তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা। সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার মাধ্যমে ই-ক্যাব সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোয় প্রাইম ব্যাংকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্সখাত গত কয়েকবছর ধরে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। কোভিড ১৯ এর কারণে ই-কমার্সের কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা আজ প্রতিষ্ঠিত এক বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ই-কমার্স উদ্যোক্তাগণ ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। গত কয়েকদিন ধরে জরুরী অবস্থার মধ্যে আমরা যেভাবে অনলাইন ব্যবসা সচল রাখার জন্য সদস্যদের পাশে ছিলাম। তেমনি আর্থিক সুবিধার জন্যও আমরা তাদের পাশে থাকব।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের এমএসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব এবং ব্র্যান্ড এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান নাজমুল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।