পণ্যের গুনগত উচ্চমান নিশ্চিতকরণ এবং উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন প্লাজা কনফারেন্সে এ কথা জানান উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য বাজারে আসছে। দেশ-বিদেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। মঙ্গলবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সারা দেশে ওয়ালটন প্লাজার ২৪ টি জোন থেকে ৭০০ জন প্লাজা ম্যানেজার এবং সহকারি ম্যানেজার অংশ নেন।
কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএস নূরুল আলম রেজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম, বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, ফরেইন ট্রেড মনিটরিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, পিআরএন্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
ওয়ালটন গ্রপের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী বলেন, ওয়ালটন ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্রিজের মতো টিভিতেও একচেটিয়া বাজার দখলের লক্ষ্যে উন্নয়ন এবং গবেষণা বিভাগে কর্মরত প্রকৌশলীরা ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম বলেন, শুধু পণ্য বিক্রি নয়, ওয়ালটন মানুষের সেবা করতে চায়। প্রযুক্তি পণ্যে বাংলাদেশে ওয়ালটন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বব্যাপী বাজার সম্প্রসারণে সকল ভয়কে জয় করার আহবান জানান তিনি।
ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম জানান, আগামি বছর ওয়ালটনের বেশকিছু আইটি পণ্যের উন্নয়ন ও গবেষনা কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, ওয়ালটনের প্লাজাগুলো আরো আধুনিকায়ন ও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বক ইভা রিজওয়ানা জানান, শিগগীরই আরো বেশি পরিমানে ইন্টারনেট ভিত্তিক স্মার্টটিভি বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন। সেইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সও বাজারজাত করা হচ্ছে।
পলিসি, এইচআরএম ও এডমিন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান বলেন, সর্বোচ্চ গুণগতমানের পণ্য বাজারে সরবরাহ করতে আমরা গ্রাহকদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি প্লাজা ম্যানেজারদেরকে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ২০ জন প্লাজা ম্যানেজারকে পুরস্কৃত করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- পাবনা প্লাজার হাসিবুর রহমান, চট্টগ্রাম নেভিগেট প্লাজার আব্দুল মাজিদ, গাজীপুর চন্দ্রা প্লাজার হারুন-অর-রশীদ, রাজশাহী প্লাজার বানিজ মিয়া, লালমনিরহাট প্লাজার রাশেদুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খন্দকার মাজহারুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্লাজার রেজাউল করিম, নওগাঁ প্লাজার মাহবুব রহমান, যশোরের আরএন রোড প্লাজার সঞ্জয় কুমার সরকার, নাটর প্লাজার মো. রাকিবুল করিম, মিরপুর-১০ প্লাজার তাওফিকুর রহমান, টাঙ্গাইলের আদালত রোড প্লাজার অরূপ কুমার সাহ, টাঙ্গাইলের ময়মনসিংহ রোড প্লাজার মো. আমিনুল ইসলাম, মধুপুর প্লাজার শাহ আলম মিয়া, চট্টগ্রাম সিটিগেট প্লাজার মনির হোসেন, করোটিয়া প্লাজার আরিফুল হক লিটন, ঠাকুরগাঁও প্লাজার আব্দুল হালিম তালুকদার, বংশাল প্লাজার সুবির কুমার ধর, শেরপুর প্লাজার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও জয়পাড়া প্লাজার সৈয়দ জাহিদুল হাসান।
দিনব্যাপী কনফারেন্সের শুরুতে ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধিরা সরেজমিনে ওয়ালটন কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সবশেষে ছিল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান।
=