সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তবে এতে খুব বেশি তুষ্ট থাকতে চান না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রেমিট্যান্স ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। তাদের এ অর্থ প্রেরণে অবশ্যই সরকারের প্রণোদনা অবদান রেখেছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রতি, পরিবারের প্রতি ভালোবাসাও কাজ করেছে। আমার একান্ত আগ্রহের কারণে প্রধানমন্ত্রী এ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন। সঠিক সময়ে নেয়া পূর্ব পরিকল্পনা সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখবে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।
কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পরিকল্পনা আকাশচুম্বী কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ভালোর জন্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমার পরিকল্পনা আকাশছোঁয়া হবে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার কর্তব্য মানুষকে স্বপ্ন দেখানো এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। এখন পর্যন্ত যে স্বপ্ন আমি দেখিয়েছি, সেগুলো বাস্তবে রূপ দিয়েছি। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও সেটি পারব বলে আশা করছি। গত অর্থবছরে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এর বাইরে অবৈধভাবে আরো রেমিট্যান্স দেশে আসে। সব মিলিয়ে সেটি ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে আমার ধারণা। ফলে আমাদের সুযোগ রয়েছে রেমিট্যান্সকে বাড়ানোর। সেজন্য চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনে নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করব।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য কী পরিকল্পনা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রণোদনা কার্যক্রম সঠিক ছিল সেটি প্রমাণিত হয়েছে। নতুন কী কৌশল আমরা নেব এখনই বলছি না, তবে প্রণোদনাকে যৌক্তিকভাবে বাড়ানো, বৈধপথে আনার জন্য নতুন কোনো কৌশল নির্ধারণ, অর্থ প্রেরণের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলো আরো সহজতর করতে পারি। সময় হলেই সেগুলো জানতে পারবেন। সামনের দিনে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব। কারণ আমরা জানি, প্রবাসীদের দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মায়ের টান রয়েছে। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করব।