রাজধানীর শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে যাওয়া শিশু নীরব মারা গেছে। চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বুড়িগঙ্গার তীর থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কদমতলী থানার শ্যামপুরে সুয়ারেজ লাইনের একটি ম্যানহোলে পড়ে যায় ছয় বছরের শিশু ইসমাইল হোসেন নীরব। বিকেল ৫টার দিকে তাকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় জনতা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বুড়িগঙ্গার কাছে একটি নালায় বসানো জালে আটকে ছিল নীরব। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহেল রানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খাজা আবদুল গফুর বলেন, ‘নীরবকে রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে এই হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় তিন-চার ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
কদমতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর মাঠসংলগ্ন এলাকায় নীরবদের বাসা। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে রেজাউল ইসলাম ও নাজমা বেগমের একমাত্র সন্তান। তারা শ্যামপুরের পালাপাড়ার বরইতলা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নীরবের বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নীরব স্থানীয় দুটি শিশুর সঙ্গে খেলছিল। একপর্যায়ে সে ওই সুয়ারেজের লাইনের পানিতে পড়ে যায়। তখন অন্য শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুয়ারেজের লাইনের পানিতে নেমে নীরবকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এরপর স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে নীরবকে অচেতন অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়। কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, শ্যামপুর বাজারসংলগ্ন সেনাকল্যাণ ঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গার তীর থেকে নীরবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।