যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষী বক্তব্য জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পেন্টাগন। সোমবার এক প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখার সময় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমান অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তার ওই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। তার সমালোচনা করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও। মঙ্গলবার পেন্টাগন মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, এ ধরনের কথা-বার্তা ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডকে আরও জোরদার করতে পারে। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জাপানি-আমেরিকান নাগরিকদের নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার সাথে এই পরিকল্পনার কোন পার্থক্য নেই।
তবে দেশে বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখেও দেশটিতে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে অটল রয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সপ্তাহে এক মুসলিম দম্পতির সশস্ত্র হামলায় ১৪ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে ওই আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তার এ বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে। তার এ বক্তব্যকে ‘অ-মার্কিনসুলভ’ বলে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস বলেছে, তার এ দাবি মার্কিন মূল্যবোধ ও জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের পরিপন্থি। এমনকি নিজের দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েন মিস্টার ট্রাম্প। তার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ছেলে এবং সাবেক ফ্লোরিডা গভর্নর জেব বুশও। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘বিকৃত মস্তিষ্ক’ মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন।