‘লে-অফ’ নয় পুরো দমে চলছে লাফার্জহোলসিম
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৭-১৪ ০৯:১৩:২২
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লাফার্জহোলসিম নিয়ে মতিঝিল পাড়ায় চলছে গুজব। বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপ বলছেন প্রতিষ্ঠানটির কারখানা বন্ধ রয়েছে। অন্য একটি গ্রুপ বলছে ‘লে-অফ’ নয়; পুরোদমে লাফার্জহোলসিমের কার্যক্রম চলছে। তবে লাফার্জহোলসিম কর্তৃপক্ষ বলছে কোম্পানির কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।
সূত্র মতে,করোনাভাইরাস মহামারীতে অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে আসে। ফলে দেখা দেয় কাচামালের সংকট। এর প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কিছু ইউনিট বন্ধ (‘লে-অফ’) রাখা হয়।
এ বিষয়ে লাফার্জহোলসিমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সানবিডিকে বলেন, আমাদের মোট চারটি কারখানা (সিলেট,মংলা ও মেঘনা ঘাটে দুটি)। সবকটি কারখানা পুরোদমে চলছে। কাঁচামালের স্বল্পতার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ইউনিট বন্ধ ছিলো। ৩০ এপ্রিলের পর থেকে আর বন্ধ নেই।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের শ্রম আইনের ভাষায়, লে-অফ হল কোনো কারখানায় কাঁচামালের স্বল্পতা, মাল জমে যাওয়া কিংবা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় শ্রমিককে কাজ দিতে না পারার অক্ষমতা।
ওই সময়ে,বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানির সব কর্মীকে মার্চ মাসের বেতন এবং ২০১৯ সালের জন্য বিশেষ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া সব কর্মীকে এপ্রিল মাসের পুরো বেতন পরিশোধের আশ্বাসও দিয়েছিলো লাফার্জহোলসিম।
শ্রম আইন অনুযায়ী, লে-অফ চলাকালে প্রথম ৪৫ দিনের ক্ষেত্রে পূর্ণকালীন শ্রমিকের মোট মূল মজুরি, মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক দিতে হয় মালিককে। পরের ১৫ দিনের জন্য শ্রমিক পাবে পাবে ২৫ শতাংশ মূল বেতন এবং বাড়ি ভাড়া। “কিন্তু লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ১২ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০ এই ১৮ দিনের কোনো বেতন কর্তন করেনি। যার যা বেতন সবই দেওয়া হয়।”
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশে সিমেন্ট উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি। এর কর্মী সংখ্যা ৩ হাজারের মতো।