শেয়ারবাজারের আলোচিত প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই মামলা করবে। প্রথম ডিএসই একটি এফআইআর(ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) করবে। পরবর্তীতে এটি মামলায় রুপান্তরিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সানবিডিকে বলেন, আজ ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে প্রায় ২ মাস বন্ধ রাখা হয় ডিএসইর কার্যক্রম। খোলার পরেও কোন ধরণের ঘোষণা ছাড়াই গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে মতিঝিলের ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করে বিনিয়োগকারীরা। সে মামলায় গত ৬ জুলাই ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী পরিচালক নিপা সুলতানাকে গ্রেফতার করে ডিবি।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন জানান, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে আনুমানিক ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীর শেয়ার কেনাবেচার ১০০ কোটি টাকা ছিল। শহিদুল্লাহ ২২ তারিখে তার প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরায়। বিনিয়োগকারীরা যখন দেখলো যে অ্যাকাউন্টে টাকা নেই, তখন তারা অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো। তখন দেখে অফিস তালা ও শহিদুল্লাহ, তার স্ত্রী ও ভাই পালিয়ে গেছে।
শহিদুল্লাহকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আবদুল বাতেন জানান, তিনি (শহিদুল্লাহ) স্বীকার করেছেন যে আত্মসাতের জন্যই টাকা তুলে পালিয়েছিলেন। এছাড়া আরেকটি অবৈধ কাজ করেছেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী তারা শুধু এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। তবে তারা প্রায় ৬০০ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নিয়ে ডিডের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা নিয়ে তাদের মাসে মাসে লভ্যাংশ দিচ্ছেন, যেটা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই টাকাটা মেরে দেয়ার জন্যই তিনি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে গেছেন।
আরও পড়ুন