রাজধানীর ওয়ারীর একটি মেসে রুমের ভেতর আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিন জন।
অগ্নিদগ্ধ তিনজন হলেন সুমন (৪০), শহিদ (১৮) ও শাকিব (৩৫)। তিনজনই এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিগদ্ধ সুমন ও শহিদের শরীরের ৮৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। অপরদিকে দগ্ধ শাকিবের শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে গেছে। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারা তিনজনই মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ তিনজনই গাড়ির গ্যারেজে যানবাহন মেরামতের কাজ করত। রাজধানীর ওয়ারীর একটি মেসে থাকত তারা। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাদের রুমের ভেতর কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দুটি তালা মেরে পালিয়ে যায়।
পরে তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। এরপর তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আইসিইউতে নেবার আগে অগ্নিদগ্ধ সুমন জানান, তিনি ওই গ্যারেজের মালিক। সোহাগ ও রাজিব নামে দুজন রুমের ভেতর আগুন লাগিয়ে তালা মেরে পালিয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগ ও রাজিব তার কাছে কাজ শিখত। তারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। পুলিশ একবার ধরেও নিয়েছিল। পরে তাদের ছাড়িয়ে আনেন সুমন। বিভিন্ন সময় তারা সুমনের কাছে টাকাপয়সা চাইত। সুমনও অতিষ্ঠ হয়ে দিতেন। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। গতরাতে এ দুজন পরিকল্পনা করে রুমের ভেতর আগুন লাগিয়ে দেয়।
ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ তিনজন গাড়ির মেরামতের কাজ করে। একটি মেসে ভাড়া থাকত। রুমের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বাইরে থেকে দুটি তালা লাগানো ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা রুমের ভেতরে আগুন লাগিয়ে তালা মেরে পালিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। যারাই করুক আমরা তাদের খুঁজে বের করব।’