বাতিল হচ্ছে বিএসইসির ১৯৬৯’ ও ১৯৯৩ আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০৭-২০ ০৮:২০:৩০


পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১৯৬৯’ ও ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ মিলে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ২০২০’ করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন আইনে সরকার চাইলে বিএসইসি থেকেই কমিশনার নিয়োগ দিতে পারবে। অন্যদিকে বর্তমানে বেসরকারি খাত থেকে একজন কমিশনার রাখার বিধান থাকলেও নতুন আইনে তা বাতিল করা হচ্ছে। একই সাথে বিএসইসির চেয়ারম্যান বা কমিশনার নিয়োগে পুঁজিবাজার, কোম্পানি আইন কিংবা এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত রাখা হচ্ছে। নতুন আইন সংসদে পাস হলে আগের আইন ও অধ্যাদেশ দুটিই বাতিল হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রস্তাবিত আইনের খসড়া সবার মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এরপর তা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য সংশ্নিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবে। সর্বশেষ সংসদে আইন পাসের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন

ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ

বিএসইসির কর্মকর্তারা জানান, মূলত সংস্থার গঠন, দায়িত্ব ও কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত দুটি আইনকে একটি আইনে রূপান্তর করার উদ্দেশ্যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন নেই। ১৯৯৩ সালের আইনে কমিশনের গঠন, নিয়োগ ও দায়িত্ব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে। অন্যদিকে ১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ বলে বিএসইসি সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

প্রস্তাবিত আইনে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি চাকুরে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের বেতন-ভাতা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুরূপ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম ও ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশটি প্রায় একই রকম রাখা হয়েছে। সামান্য যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশে নিবন্ধিত যে কোনো কোম্পানির অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বিএসইসির কাছে থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে এ বিষয়ে শুধু তালিকাভুক্ত কোম্পানির কথা বলা হয়েছে। অতালিকাভুক্ত কোম্পানির বিষয়টি এখানে অস্পষ্ট।

স্টক এক্সচেঞ্জসহ পুঁজিবাজার সংশ্নিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান কমিশন থেকে নিবন্ধন না নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না- বিদ্যমান আইনের এ ধারা প্রস্তাবিত আইনেও যথারীতি রয়েছে। একইভাবে বিদ্যমান আইনের মতো প্রস্তাবিত আইনেও কমিশনের অনুমতি ছাড়া দেশে বা দেশের বাইরে ইস্যু করা হয়েছে বা ইস্যুর প্রস্তাব করা হয়েছে- এমন কোনো শেয়ার কিনতে বা কেনার জন্য টাকা লেনদেন না করতে দেওয়ার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১৯৬৯ অধ্যাদেশের আলোচিত ২সিসি ধারা বহাল রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রস্তাবিত আইনের ২৩(২)(গ) ধারায় স্টক এক্সচেঞ্জ বা পুঁজিবাজার সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষক এবং পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে ২৪(১)(গ) ধারায় প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনো কোম্পানির বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজকে তালিকাভুক্তি বা তালিকাচ্যুত করার নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা কমিশনের কাছে বহাল থাকবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছে।

শেয়ার কারসাজি:৩ প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তিকে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি ও পরিচালক গ্রেফতার

২ % শেয়ার ধারণ:নতুন কমিশনের ৪৫ দিনের আল্টিমেটাম

মূল প্লাপটফর্মে লেনদেন হবে পারপিচুয়াল বন্ড

টার্গেট ছিলো ১০০ কোটি সরানো;১৮ কোটিতেই ধরা

কাট্টালি টেক্সটাইলের পরিচালকদের বড় জরিমানা করলো বিএসইসি

এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের আইপিও অনুমোদন

অনলাইনে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও লটারী

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন

ক্যাপিটাল নিউজক্যাপিটাল ভিউজস্টক নিউজ